মোবাইল ফোন

প্রশ্ন উত্তর

মুখে মুখে উত্তর বলি

১। মোবাইল ফোন আজকের দিনে কী কী কাজে লাগে?

মোবাইল ফোন কথা বলার কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আজকাল এ যন্ত্রটি অনেক কাজে লাগে। যেমন- গান শুনতে, এসএমএস পাঠাতে, ছবি তুলতে, গেমস খেলতে, ভিডিও চিত্র ধারণ করতে, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে ইত্যাদি কাজে ব্যবহার হয়। এছাড়াও টাকা পাঠাতে, বাসায় বসে মোবাইলে ছবি তুলে সেই ছবি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে পাঠানো যায় এই মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে।

২। মোবাইল ফোন উদ্ভাবনের জন্য কারা কাজ করেছেন?

মোবাইল ফোন উদ্ভাবনে যেসব বিজ্ঞানী ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- রিচার্ড এইচ, ফ্রাঙ্কলিন, জোয়েল এস∙অ্যাঞ্জেল।

৩। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কীভাবে অন্য জনের সাথে কথা হয়?

মোবাইল ফোন থেকে বেতার টাওয়ারের মাধ্যমে অন্যজনের সাথে কথা হয়।

৪। মোবাইলে কথা বলার জন্য সব জায়গায় কী বসাতে হয়?

মোবাইলে কথা বলার জন্য সব জায়গায় টাওয়ার বসাতে হবে।

৫। এসএমএস কী এবং কখন কাজে লাগে?

এসএমএস হচ্ছে খুব কম শব্দে কিছু লিখে খবর পাঠানো। যাকে বলা হয় খুদেবার্তা। নেটওয়ার্কের জন্য কথা ভালো শোনা না গেলে বা কথা না বলে বার্তা পাঠাতে চাইলে এটি কাজে লাগে।

৬। প্রথম পর্যায়ের মোবাইল ফোন কেমন ছিল?

প্রথম পর্যায়ে সীমিত আকারে মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু হয় সেন্ট লুই শহরে ১৯৪৭ সালে। ধাপে ধাপে এর উন্নতি হয়। ১৯৬৪ সালের দিকে শুধু গাড়িতে মোবাইল ফোন থাকত। তার ওজন ছিল প্রায় এক কেজি।

৭। মোবাইল ফোন উদ্ভাবিত হয় কীভাবে?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই মোবাইল ফোনের উদ্ভাবন শুরু হয়। আমেরিকার বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন। তাঁর দুজন সহকারী ছিলেন। তাঁরা হলেন রিচার্ড এইচ∙ফ্রাঙ্কলিন এবং জোয়েল এস∙অ্যাঞ্জেল। তাঁরাই পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের কৌশল উদ্ভাবন করেন।

৮। অ্যানটেনা কী কাজে লাগে?

অ্যানটেনা সারাক্ষণ তরঙ্গের মাধ্যমে টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। সেট থেকে বোতাম চেপে অন্য নাম্বারে যোগাযোগ করা হয়। সেসময় অ্যানটেনা সবচেয়ে কাছের টাওয়ারের মাধ্যমে অন্য প্রান্তের ফোন সেটকে খুঁজে নেয়।

৯। মোবাইল অ্যানটেনা কীভাবে টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ রাখে?

মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো একটি অন্যটির সাথে যোগাযোগের অদৃশ্য জাল তৈরি করে। মোবাইল সেটের অ্যানটেনা তরঙ্গের মাধ্যমে টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ রাখে।

১০। মোবাইল ফোন বর্তমান রূপ লাভ করেছে কীভাবে?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এটার উদ্ভাবন কাজ শুরু হয়। তারপর কালে কালে একটু একটু করে আজকের মোবাইল ফোন বেরিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে সীমিত আকারে এর ব্যবহার শুরু হলেও ১৯৭১ সালে ফিনল্যান্ডে সকল মানুষের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭২ সালে গবেষক কুপার হাতে ধরা ছোট সেট তৈরি করেন।