- জাতীয় পতাকা
- জাতীয় সংগীত
- সূচিপত্র
- পাঠ ১ - এই দেশ এই মানুষ
- পাঠ ২ - সংকল্প
- পাঠ ৩ - সুন্দরবনের প্রাণি
- পাঠ ৪ - হাতি আর শিয়ালের গল্প
- পাঠ ৫ - ফুটবল খেলোয়াড়
- পাঠ ৬ - বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ
- পাঠ ৭ - ফেব্রুয়ারির গান
- পাঠ ৮ - শখের মৃৎশিল্প
- পাঠ ৯ - শব্দদূষণ
- পাঠ ১০ - স্মরণীয় যাঁরা চিরদিন
- পাঠ ১১ - স্বদেশ
- পাঠ ১২ - কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা
- পাঠ ১৩ - অবাক জলপান
- পাঠ ১৪ - ঘাসফুল
- পাঠ ১৫ - মাটির নিচে যে শহর
- পাঠ ১৬ - শিক্ষাগুরুর মর্যাদা
- পাঠ ১৭ - ভাবুক ছেলেটি
- পাঠ ১৮ - দুই তীরে
- পাঠ ১৯ - বিদায় হজ
- পাঠ ২০ - দেখে এলাম নায়াগ্রা
- পাঠ ২১ - রৌদ্র লেখে জল
- পাঠ ২২ - মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
- পাঠ ২৩ - শহীদ তিতুমীর
- পাঠ ২৪ - অপেক্ষা
- Home
- Elements
আমার বাংলা বই
প্রশ্ন উত্তর
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
১। নদীর বালুচরে কী ঘটে?
‘দুই তীরে’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নদীর বালুচরে কী কী ঘটে তা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, নদীতীরে বালুচরে চকাচকিরা নির্জনে ঘর বাঁধে। তীরের চারপাশে কাশফুল ফুটে থাকে। শীতের সময় হাঁস এসে বালুচরে ভিড় করে। কচ্ছপ দল বেঁধে এসে রোদ পোহায়। সন্ধ্যায় জেলেদের ডিঙ্গি এসে ঘাটে ভিড় করে।
২। দুই তীরে দু-জন মানুষের ভালো লাগার জিনিসগুলো কী?
নদীর দুই তীরে দু-জন মানুষ বাস করে। আজ তীরের মানুষ ভালোবাসে নদীর বালুচর, শরৎকালে যেখানে নির্জনে চকাচকিরা ঘর বাঁধে। সে ভালোবাসে নদীতীরের কাশফুল, কচ্ছপের রোদ পোহানোর দৃশ্য, সন্ধ্যাবেলা দু-একটা জেলেডিঙির তীরে ফেরা। আর ওপারের মানুষ ভালোবাসে তার ওপারের বন, যেখানে পাতার আচ্ছাদনে ঘন ছায়া তৈরি হয়েছে। সে ভালোবাসে বেণুবন, সকাল-সন্ধ্যায় ঘাটে বধূদের আনাগোনা আর ঘাটের জলে ছেলের দলের ভেলা ভাসানো।
৩। ঘাটে বধূর মেলা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
‘দুই তীরে’ কবিতায় কবি বলেছেন যে, নদীর ঘাটে সকাল-সন্ধ্যা বধূদের মেলা। ‘ঘাটে বধূর মেলা’ কথাটি দ্বারা কবি মূলত বলতে চেয়েছেন যে, গ্রামের বধূরা সকাল- সন্ধ্যা দল বেঁধে নদীর ঘাটে আসে। তারা নদীতে গোসল করে, কাপড়চোপড় ধোয়, নদী থেকে কলসি কাঁখে করে পানি নিয়ে যায়।
৪। দুই তীরে কবিতায় ওই পারের বনটি কেমন?
‘দুই তীরে’ কবিতায় কবি ঐ পারের যে বনের কথা বলেছেন, তা গাছগাছালিতে পরিপূর্ণ। আর এই ঘন বন পাতার আচ্ছাদনে ঘনচ্ছায়া তৈরি করেছে।
৫। সকাল-সন্ধেবেলা ছেলের দল কী করে?
সকাল-সন্ধেবেলা ছেলের দল নদীর জলে ভেলা ভাসিয়ে তার ওপর তারা ভেসে থাকে।
৬। শরৎকালের প্রকৃতি কেমন হয়?
শরৎকালে চকাচকিরা নদীর তীরে ঘর বাঁধে। প্রকৃতিতে নদীর তীরে কাশফুল ফুটে থাকে। ভোরবেলায় প্রকৃতিতে কুয়াশা থাকে। শরৎকালে শিউলি ফুল ফোটে।
৭। কাশফুল সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখ।
কাশফুলের রং সাদা এবং এটি শরৎকালে ফোটে। উপর থেকে এবং দূর থেকে কাশফুলকে ঘন সাদা ফুলের বিছানা মনে হয়। কাশফুলে হাত দিলে পাখির পালকের মতো নরম মনে হয়।
৮। শীতের দিনে বিদেশি হাঁসেরা নদীর তীরে ঘর বাঁধে কেন?
শীতকালে শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীত পড়ার কারণে বিদেশি হাঁসেরা শীতকালে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এদেশে আসে। যেহেতু এদেশে তুলনামূলকভাবে কোন শীত পড়ে, তাই এদেশের নদীর তীরে হাঁসেরা ঘর বাঁধে।
অল্প কথায় উত্তর দেই।
১। নদীর এই তীরে যে থাকে সে কী ভালোবাসে?
নদীর এই তীরে যে থাকে সে নদীর বালুচর ভালোবাসে।
২। তটের চারপাশে কাশফুল ফুটে কি সৃষ্টি করে?
তটের চারপাশে কাশফুল ফুটে এক অতুলনীয় সৌন্দর্যে ভরে যায়।
৩। কোন কালে কচ্ছপেরা রৌদ্র পোহায়?
শীতকালে কচ্ছপেরা রৌদ্র পোহায়।
৪। কাশফুল কখন ফোটে?
কাশফুল শরৎকালে ফোটে।
৫। জেলের ডিঙ্গি কোথায় ভিড়ে?
সন্ধ্যা বেলায় জেলের ডিঙ্গি ভিড়ে।








