- জাতীয় পতাকা
- জাতীয় সংগীত
- সূচিপত্র
- পাঠ ১ - এই দেশ এই মানুষ
- পাঠ ২ - সংকল্প
- পাঠ ৩ - সুন্দরবনের প্রাণি
- পাঠ ৪ - হাতি আর শিয়ালের গল্প
- পাঠ ৫ - ফুটবল খেলোয়াড়
- পাঠ ৬ - বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ
- পাঠ ৭ - ফেব্রুয়ারির গান
- পাঠ ৮ - শখের মৃৎশিল্প
- পাঠ ৯ - শব্দদূষণ
- পাঠ ১০ - স্মরণীয় যাঁরা চিরদিন
- পাঠ ১১ - স্বদেশ
- পাঠ ১২ - কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা
- পাঠ ১৩ - অবাক জলপান
- পাঠ ১৪ - ঘাসফুল
- পাঠ ১৫ - মাটির নিচে যে শহর
- পাঠ ১৬ - শিক্ষাগুরুর মর্যাদা
- পাঠ ১৭ - ভাবুক ছেলেটি
- পাঠ ১৮ - দুই তীরে
- পাঠ ১৯ - বিদায় হজ
- পাঠ ২০ - দেখে এলাম নায়াগ্রা
- পাঠ ২১ - রৌদ্র লেখে জল
- পাঠ ২২ - মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
- পাঠ ২৩ - শহীদ তিতুমীর
- পাঠ ২৪ - অপেক্ষা
- Home
- Elements
আমার বাংলা বই
প্রশ্ন উত্তর
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
১। কবি এই কবিতায় কত ধরনের সুরের কথা বলেছেন?
‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতায় কবি লুৎফর রহমান রিটন চার ধরনের সুরের কথা বলেছেন। সেগুলো হল -
১। পাখির সুর
২। নদি-সাগরের ঢেউয়ের সুর
৩। ঝরনা প্রকৃতিতে পাহাড়ের সুর ও
৪। ফুল ও প্রজাপতির সুর।
১। পাখির সুর
২। নদি-সাগরের ঢেউয়ের সুর
৩। ঝরনা প্রকৃতিতে পাহাড়ের সুর ও
৪। ফুল ও প্রজাপতির সুর।
২। পাতা আর স্বর্ণলতা কিসে মুগ্ধ হচ্ছে?
গাছ প্রকৃতির অন্যতম অংশ। গাছের অসংখ্য পাতা ও শাখা-প্রশাখা বাতাসে দোলা দিয়ে ওঠে। সেখানে গাছের গানে গাছের পাতা আর গাছের শরীরে জড়িয়ে থাকা স্বর্ণলতা মুগ্ধ হয়।
৩। প্রজাপতি ফুলের সাথে কীভাবে কথা বলে?
ফুল ও ফসলের সঙ্গে প্রজাপতির সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। প্রজাপতি ফুলের পাপড়িতে উড়ে বেড়ায়। সেখানে ছন্দ-সুরে ফুলের সাথে প্রজাপতি কথা বলে।
৪। আমরা কোন ভাষাতে আমাদের মনের কথা বলি?
প্রতিটি শিশুই প্রথমে মায়ের মুখের ভাষা শােনে। মায়ের মুখের এই মধুর ভাষাতেই আমরা মনের কথা বলি। অর্থাৎ আমরা বাংলা ভাষাতে আমাদের মনের কথা বলি।
৫। ‘শহিদ ছেলের দান হিসেবে আমরা কী পেয়েছি?
তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে চায়নি। এ কারণে এদেশের বীর সন্তানেরা প্রতিবাদ করেন। সেই সন্তানদের ওপর ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনারা। শহিদ হন বাঙালির বীর সন্তানেরা। অবশেষে বাংলা ভাষা তার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পায়। এ কারণেই ‘শহিদ ছেলের দান' হিসেবে আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি।
৬। ভাষা আন্দোলন কেন হয়েছে?
১৯৫২ সালে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন হয়েছে। বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ঘােষণা করেছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের মতো, সকল বাঙালির ভাষাও হবে উর্দু। বাঙালি এ অন্যায়কে মেনে নিতে পারেনি। তাই মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভাষা আন্দোলন হয়।
৭। সারা পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখে পালন হয় কেন?
ইউনেস্কো ঘােষণা করায় ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৫২ সালে বাঙালি ভাষার জন্য এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম করেছিল। এ আন্দোলনে বাঙালি বুকের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার মান রক্ষা করেছিল। শহিদ হয়েছিলেন সালাম, রফিক, জব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেকে। এ জন্যই ইউনেস্কোর ঘােষণা অনুযায়ী সারা বিশ্বের মানুষ ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে।
৮। ফেব্রুয়ারির গান বলতে কী বোঝায়?
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চাওয়ার প্রতিবাদে ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখে বাংলা মায়ের সন্তানেরা আন্দোলন করলে পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ, অনেকে শহিদ হয়েছেন। তাদের কথা মনে করে এ মাসকে ‘ফেব্রুয়ারির গান' বলা হয়েছে।
৯। পাহাড় কীভাবে সুরের বাহার ছড়ায়?
প্রকৃতির এক অন্যতম উপাদান পাহাড়। পাহাড় তাঁর সুরের বাহার ঝরনা প্রকৃতিতে ছড়িয়ে দেয়। সেই সুর বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয়ে বিভিন্ন ঋতুতে ফিরে আসে। এভাবেই পাহাড় তার সুরের বাহার চারদিকে ছড়িয়ে দেয়।
অল্প কথায় উত্তর দেই।
১। ফেব্রুয়ারির গান রক্তে লেখা কেন?
ফেব্রুয়ারি মাসে ভাষার দাবি আদায়ে ছেলেরা বুকের রক্ত দিয়েছিল। তাই ফেব্রুয়ারির গানকে রক্তে লেখা বলা হয়েছে।
২। কবি লুতফর রহমান রিটন এর শিশুতোষ গ্রন্থগুলোর নাম লিখ।
কবি লুতফর রহমান রিটন এর শিশুতোষ গ্রন্থগুলোর নাম হলো - ধুত্তুরি, ঢাকা আমার ঢাকা, ছড়া ও ছবিতে মুক্তিযুদ্ধ, ভূতের বিয়ের নিমন্ত্রণে, বাচ্চা হাতির কাণ্ডকারখানা ইত্যাদি।
৩। কারা মাতৃভাষার জন্য লড়াই করেছে?
ভাষাশহিদেরা মাতৃভাষার জন্য লড়াই করেছেন।
৪। মানুষের জীবনে কোন ভাষার গুরুত্ব বেশি?
মানুষের জীবনে তার মাতৃভাষার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
৫। বাংলা ভাষাকে শহিদ ছেলেদের দান বলা হয়েছে কেন?
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে বাঙালি জাতির বীর সন্তানেরা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে জীবন দিয়েছিলেন। এ কারনে বাংলা ভাষাকে শহিল ছেলের দান বলা হয়েছে।








