পাখির জগৎ
প্রশ্ন উত্তর
মুখে মুখে উত্তর বলি
১। পাখিদের ভোরের দূত বলা হয়েছে কেন?
ভোর হলেই পাখিরা ডেকে ওঠে। আর সে পাখির ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যায়। তাই পাখিদের ভোরের দূত বলা হয়েছে।
২। জাতীয় পাখি দোয়েলের বৈশিষ্ট্য কেমন?
দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি। এর কিছু স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমনঃ
এঁদের গাঁয়ের রঙ সাদা-কালো।
এরা থাকে লোকালয়ে আর গভীর জঙ্গলে।
এরা উঁচু ডালে মাঝে মাঝে মধুর সুরে গান গায়।
এরা ছোট ডাল, খড়কুটো ও শিকড়-বাকড় দিয়ে বাসা বানায়।
এঁদের প্রধান খাদ্য নানা ফুলের মধু ও কীটপতঙ্গ।
এঁদের গাঁয়ের রঙ সাদা-কালো।
এরা থাকে লোকালয়ে আর গভীর জঙ্গলে।
এরা উঁচু ডালে মাঝে মাঝে মধুর সুরে গান গায়।
এরা ছোট ডাল, খড়কুটো ও শিকড়-বাকড় দিয়ে বাসা বানায়।
এঁদের প্রধান খাদ্য নানা ফুলের মধু ও কীটপতঙ্গ।
৩। কোন পাখি আমাদের ঘরেরই কেউ? কেন?
চড়ুই একটি ছোট্ট পাখি। এর মাথার দিকটার রঙ ছাই রঙ্গের। পিঠে বাদামি পালক। তাঁর উপরে কালো ছোট দাগ। ডানার উপরে সাদা অথবা লালচে রেখা। এরা কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসলের শত্রু নাশ করে। শস্যদানা এর প্রিয় খাবার। লোকালয় এঁদের প্রিয় জায়গা। বাসাবাড়ির ঘুলঘুলিতে খড়, টুকরো কাপড়, শুকনো ঘাস দিয়ে এরা বাসা তৈরি করে। এজন্য চড়ুই পাখি আমাদের ঘরেরই কেউ।
৪। কোন পাখি পরিবেশ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে? কীভাবে?
টুনটুনি একটি ছোট্ট প্রজাতির পাখি। পালকের রঙ জলপাই সবুজ। মাথায় লালচে রঙের ছোপ। লম্বা ঠোঁটের রঙ কালচে খয়েরি। পায়ের রঙ হলুদাভ। লেজ নাড়িয়ে টুই টুই শব্দ করে উড়ে বেড়ায়। এরা মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে, ভালোবাসে। চমৎকার বাসা বানায়। ফুলের মধু টুনটুনির সবচেয়ে প্রিয়। টুনটুনি পাখি পরিবেশ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। পোকামাকড় খেয়ে তাঁরা পরিবেশ সুন্দর রাখে।
৫। বুলবুলি পাখি দেখতে কেমন?
বুলবুলি একটি ছোট্ট চঞ্চল স্বভাবের পাখি। বুলবুলির মাথা ও গলা কালো। মাথার উপর রাজকীয় কালো ঝুঁটি। এর তলপেট সাদা। তলপেটের শেষে লাল ছোপ। এ পাখির ঠোঁট ও পা কৃষ্ণবর্ণের হয়ে থাকে। এরা খুব দ্রুত উড়তে পারে।
৬। অতিথি পাখি বলতে কী বোঝায়?
বাংলাদেশে শীতকালে অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামুলক ভাবে শীত কম। সাইবেরিয়ায় শীতকালে তীব্র শীত থাকায় সে দেশের পাখিরাআমাদের দেশে আসে। আবার শীতকাল শেষ হলে তারা তাদের দেশে ফেরত চলে যায়। এ পাখিগুলোকে অতিথি পাখি বলে।
৭। পাখি কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে?
পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান হলো পাখি।পরিবেশে এমন কিছু কীটপতঙ্গ আছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এসব কীটপতংদের পাখিরা খাবার হিসেবে গ্রহণ করে পরিবেশ রক্ষা করে। এছাড়াও পাখি উদ্ভিদের প্রজন্ম বিস্তার ঘটাতেও সাহায্য করে।
৮। শকুন কীভাবে মানুষের উপকার করে?
শকুন বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় এক প্রকারের পাখি। এটি আকারে অনেক বড়। এরা পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাস করে। নানাভাবে আমাদের পরিবেশ দূষিত হয়। যেমন: ময়লা, আবর্জনা, জীব জন্তুর মৃতদেহ প্রভৃতি কারণে পরিবেশ নোংরা হয়। এসব মৃতদেহ পচে পরিবেশে জীবাণু ছড়ায়, যা পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শকুন এসব ক্ষতিকর আবর্জনা খেয়ে জীবন ধারণ করে। ফলে পরিবেশ দূষণ হতে রক্ষা পায়। মানুষও রক্ষা পায় বিভিন্ন রোগ থেকে। এভাবেই শকুন মানুষের উপকার করে। শকুন আমাদের দেশের এক প্রকার উপকারী পাখি।
৯। বাবুই পাখিকে তাঁতি পাখি বলা হয় কেন?
শুধুই পাখির বাসা গঠন বেশ জটিল আর এদের বাসার আকৃতি খুব সুন্দর। খুব সুন্দর বাসা বোনে বলে এদেরকে তাঁতি পাখি বলা হয়।
১০। মাছরাঙ্গা পাখি সম্পর্কে ৫টি বাক্য লিখি।
মাছরাঙ্গা অত্যন্ত উজ্জ্বল রঙের ছোট ও মাঝারি আকৃতির পাখি।
পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মাছরাঙ্গা পাখি দেখা যায়।
এদের দেহের তুলনায় মাথা বড়, লম্বা, ধারালো ও চোখা চঞ্চু, খাটো পা ও খাটো লেজ রয়েছে।
ওরা সাধারণত ডাল থেকে ঝাঁপ দিয়ে পানির মধ্য থেকে মাছ শিকার করে।
জলাশয়ের পাশে খাড়া পাড়ের গর্তে এরা বাসা বানায়।
পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মাছরাঙ্গা পাখি দেখা যায়।
এদের দেহের তুলনায় মাথা বড়, লম্বা, ধারালো ও চোখা চঞ্চু, খাটো পা ও খাটো লেজ রয়েছে।
ওরা সাধারণত ডাল থেকে ঝাঁপ দিয়ে পানির মধ্য থেকে মাছ শিকার করে।
জলাশয়ের পাশে খাড়া পাড়ের গর্তে এরা বাসা বানায়।








