আমার বাংলা বই

প্রশ্ন উত্তর

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

১।  হাওয়াতে কারা মাথা দোলাচ্ছে?

হাওয়াতে ঘাসফুল মাথা দোলাচ্ছে।

২।  ঘাসফুল আমাদের কাছে কী মিনতি করছে? কেন করছে?

ফুল ছিঁড়ে, পায়ের নিচে পিষে আমরা যেন ঘাসফুলকে কষ্ট না দিই সেই মিনতি করছে। ঘাসফুল ঘাসের ছোট ছোট ফুল। ঘাসের বুকে প্রকৃতির মাঝে পরম আনন্দে তারা বেঁচে আছে। কিন্তু মানুষ ফুল ছিঁড়ে, হাঁটার সময় পা দিয়ে তাদের পিষে। এতে তারা কষ্ট পায়। কারণ ফুলেরও জীবন আছে। তাই ঘাসফুল এই মিনতি করছে, তাঁদের যেন মেরে ফেলা না হয়।

৩।  ঘাসফুল কার সাথে নিজেকে তুলনা করেছে? কীভাবে তুলনা করেছে?

ঘাসফুল পৃথিবীর বুকের স্নেহ-ভালবাসার সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেছে। ঘাসফুলের মতে পৃথিবীর বুকের স্নেহ কণাগুলো ঘাস হয়ে ফুটে ওঠে। আর ঘাসফুল সেই স্নহ-কণার লাল, নীল, সাদা হাসি। তারা রুপকথা আর নীল আকাশের বাঁশি শুনে নিজেদের আনন্দে ভরিয়ে তোলে। মূলত ঘাসফুল নিজ সৌন্দর্য আর বিশেষত্ব তুলে ধরতে পৃথিবীর বুকের স্নেহ-কণার সাথে নিজেকে তুলনা করেছে।

৪।  ফুল মানুষকে কীভাবে আনন্দ দেয়?

ফুল সৃষ্টিকর্তার অনন্য সৃষ্টি। ফুল সৌন্দর্য, ভালোবাসা আর পবিত্রতার প্রতীক। ফুল প্রকৃতির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। নানা বর্ণের নানা গন্ধের ফুল মানুষকে মুগ্ধ করে। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে, সুবাস নিয়ে মানুষ আনন্দ পায়। এভাবেই ফুল মানুষকে আনন্দ দেয়।

৫।  ঘাসফুল কীভাবে জীবনকে উপভোগ করেছে?

আকাশে যখন তারারা ফোটে তখন ঘাসফুল পরম আনন্দে বাতাসে দোল খায়। রুপকথা আর নীল আকাশের বাঁশির সুর শুনে সে আনন্দ লাভ করে।

৬।  ‘মোরা তারই লাল নীল সাদা হাসি।’-একথা দিয়ে কী বুঝানো হয়েছে?

পৃথিবীর বুকে যত স্নেহ-ভালবাসা আছে সবই ঘস্ফুল হয়ে ফোটে। পৃথিবীর সব ভালোবাসা নিয়ে লাল, নীল, সাদা বর্ণের ঘাসফুল ফোটে।

অল্প কথায় উত্তর দেই।

১।  ঘাসফুল কার কাছে মিনতি করেছে?

ঘাসফুল মানুষের কাছে মিনতি করেছে। /span>

২।  ঘাসফুল হেসে উঠে কেন?

ঘাসফুল পরম আনন্দে হেসে উঠে।

৩।  ঘাসফুল মানুষদের কীসের সাথে হাসির কিরণে খুশি হতে বলেছে?

ঘাসফুল মানুষদের সূর্যের সাথে হাসির কিরণে খুশি হতে বলেছে।

৪।  ঘাসফুলের সাথে কার মিতালী?

ঘাসফুলের তারার সাথে মিতালী।

৫।  কী ঘাস হয়ে ফুটে ওঠে?

ধারার বুকে স্নেহ-কণাগুলো ঘাস হয়ে ফুটে ওঠে।

৬।  কবি তাঁর কোন শিল্পকর্মের জন্য বেশি বিখ্যাত?

তিনি দেশপ্রেমের গান লিখে বেশি বিখ্যাত।