আমার বাংলা বই

প্রশ্ন উত্তর

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

১।  ক্যাঙ্গারু ও সিংহ বললেই কোন কোন দেশের কথা মনে হয়?

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন প্রাণীর জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের কোনাে কোনাে প্রাণীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দেশের নাম বা জায়গার। নাম। যেমন- ক্যাঙ্গারু বললেই মনে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কথা। সিংহ বললেই মনে ভেসে ওঠে আফ্রিকার কথা।

২।  বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে তুমি যা জান লেখ।

বাংলাদেশের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা রাজকীয় বাঘের নাম। এগুলাে সুন্দরবনে বাস করে। এ বাঘ দেখতে সুন্দর কিন্তু তার স্বভাব ভয়ঙ্কর। জীবজন্তু শিকার করে ও সুযােগ পেলে মানুষও খায়। একসময় সুন্দরবনে ছিল চিতাবাঘ ও ওলবাঘ। এগুলাে এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাই সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

৩।  দেশের জন্য পশুপাখি, জীবজন্তু কী উপকার করে তা নিজের ভাষায় লেখ।

যেকোনাে দেশের জন্যই জীবজন্তু পশুপাখি এক অমূল্য সম্পদ। পৃথিবীতে অপ্রয়ােজনীয় পশুপাখি জীবজন্তু বা বৃক্ষলতা বলতে কিছুই নেই। যেমন কাক দেখতে অসুন্দর হলেও এটি উপকারী পাখি। এছাড়া অন্যান্য পাখি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির সঙ্গে ফসলের পােকামাকড় খেয়ে পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখে। পশুর মধ্যে গরুর কথা বলা যায়। গরুর দুধ মানুষের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে থাকে। গরুর গােবর সবচেয়ে উপকারী জৈব সার। এভাবে পশুপাখি ও জীবজন্তু অর্থনৈতিকভাবেও দেশকে সাহায্য করে থাকে।

৪।  শকুন কীভাবে মানুষের উপকার করে?

শকুন বাংলাদেশের একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। একসময় বাংলাদেশে প্রচুর শকুন দেখা যেত। শকুন দেখতে খুব একটা সুন্দর না হলেও খুব উপকারী পাখি। মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর, সেসব আবর্জনা শকুন খায়। এর ফলে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে। এভাবেই শকুন মানুষের অনেক উপকার করে।

৫।  পশুপাখি জীবজন্তু না থাকলে প্রকৃতির কী বিপর্যয় ঘটবে বলে তোমার মনে হয়?

পশুপাখি জীবজন্তু না থাকলে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে। দেশের জলবায়ু, আবহাওয়া, গাছপালা, বৃক্ষলতা ইত্যাদি প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলেই সে দেশের প্রাণিকুল জীবনধারণ করে। তাই পশুপাখি ও জীবজন্তু না থাকার অর্থ প্রাকৃতিক দূষণ। প্রকৃতি দূষিত হলে ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প এসব ঘটতেই থাকবে। তখন সুস্থ প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।

৬।  ‘পৃথিবীতে অপ্রয়োজনীয় প্রাণী বা বৃক্ষলতা বলতে কিছুই নেই’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

যেকোনো দেশের জন্যই জীবজন্তু পশুপাখি এক অমূল্য সম্পদ। এসব প্রাণী প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। এ কারণে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে অপ্রয়োজনীয় প্রাণী বা বৃক্ষলতা বলতে কিছুই নেই ।

৭।  রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বর্ণনা দাও।

রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাস করে। এ বাঘ দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি ভয়ঙ্কর। এর চালচলনও রাজার মতাে। স্যাতসেতে গােলপাতার বনে এ বাঘ রাজার মতাে। ঘুরে বেড়ায় ও প্রাণী শিকার করে।

৮।  বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সংরক্ষণে কী কী উপায় অবলম্বন করা যায়?

সভ্যতার বিকাশে ও বনায়ন ধ্বংসের কারণে অনেক বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখনও যেসব প্রাণী আছে সেগুলাে সংরক্ষণে নিম্নোক্ত উপায় অবলম্বন করা দরকার।

১. বন ধ্বংস না করার জন্য কঠোর আইন ও শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. বন্যপ্রাণী ধরা বা হত্যা বন্ধ করার জন্য কঠোর আইন ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. বন এলাকাকে অভয়ারণ্য ঘােষণা করে তা রক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪, বন এলাকার বিশ মাইলের মধ্যে কোনাে শিল্প-কারখানা বা বন ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর কোনাে প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না ।
৫. বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

অল্প কথায় উত্তর দেই।

১।  সুন্দরবনের কোন প্রাণী অমূল্য সম্পদ?

রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

২।  সুন্দরবনের বেশ কিছু প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবার কারণ কী?

বন ধ্বংস।

৩।  বর্তমানে কোন পশুটি সুন্দরবনে এক রকম দুর্লভ?

বাঘ।

৪।  একটি দেশের জন্য পশু-পাখি অমূল্য সম্পদ কেন?

এরা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে।

৫।  ‘বেঙ্গল’ শব্দের অর্থ কী?

বাংলা।

৬।  বাঘকে ভয়ঙ্কর প্রাণী বলা হয় কেন?

মানুষ খায় বলে।

৭।  সুন্দরবনে এখন আর চিতাবাঘ দেখা যায় না কেন?

কারণ এটি প্রায় বিলুপ্তির পথে।

৮।  শকুন কীভাবে আমাদের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে?

ক্ষতিকর আবর্জনা খেয়ে।

৯।  অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশুর নাম কী?

ক্যাঙ্গারু।

১০।  বাংলাদেশের কোন জঙ্গলে হাতি দেখা যায়?

রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে।