বাওয়ালিদের গল্প

প্রশ্ন উত্তর

মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি

১। সুন্দরবন বাংলাদেশেরে কোথায় অবস্থিত?

সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত।

২। সুন্দরবনের গাছপালা কোথা থেকে পানি যায়?

সুন্দরবনে রয়েছে হাজার হাজার প্রজাতির গাছপালা। সুন্দরবনের কোনো কোনো জায়গায় গাছপালা এত ঘন যে, সূর্যের আলো মাটিতে পৌঁছায় না। আর এইসব গাছপালা বঙ্গোপসাগরের নোনা পানিতে বেঁচে আছে।

৩। বাওয়ালি কারা?

সুন্দরবনে বিভিন্ন ধরণের হাজার হাজার গাছ আছে। এই সব গাছ থেকে কাঠ পাওয়া যায়, যা অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। সুন্দরবনে যারা কাঠ কাটেন ও বিক্রি করেন, তাদেরকে বাওয়ালি বলে। তাঁরা রোজ গ্রাম থেকে বনে এসে কাঠ কাটেন, দিনের শেষে আবার কাঠ নিয়ে গ্রামে ফিরে যান।

৪। বাওয়ালিদের কাজ এত বিপদজনক কেন?

বাওয়ালিদের কাজ খুব বিপদজনক এবং কষ্টের। সুন্দরবনে আছে ভয়ংকর মাংসাশী প্রাণী বাঘ। বাঘ অন‍্য প্রাণী যেমন-গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি খেয়ে বাঁচে। এই বাঘ আবার মানুষকেও আক্রমণ করে। তাই সুন্দরবনে বাঘই মানুষের সবচেয়ে ভয়ের বিষয়। আবার প্রতিদিন বাওয়ালিদের বাড়ি ফেরা সম্ভব হয় না। ফলে বনেই রাত্রিযাপন করতে হয় অনেক সময়। রাতের বেলায় হিংস্র জন্তুরা আক্রমণ করতে পারে জেনেও তাঁরা জীবিকার তাগিদে বনে থাকে। এসব কারণেই বাওয়ালিদের কাজ খুবই বিপদজনক।

৫। কীভাবে মানুষ এই বন থেক অর্থ আয় করে, দুটো উপায় বলি।

মানুষ এই বন থেকে অর্থ আয় করতে পারে, যার দুটো উপায় হলোঃ

১। মৌমাছিরা গাছে গাছে তাঁদের মৌচাক বানায়। আর মৌয়ালরা এসব গাছ থেকে মধু সংগ্রহ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
২। সুন্দরবনে বিভিন্ন ধরণের হাজার হাজার গাছ রয়েছে। বাওয়ালিরা এই গাছ থেকে যে কাঠ পাওয়া যায় তা বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

৬। সুন্দরবনে কাজ করার সময় কোনটি বাওয়ালিদের কাছে বেশি মূল্যবান, খাবার না খাবার পানি? কেন?

সুন্দরবনে কাজ করার সময় বাওয়ালিদের কাছে খাবার পানি বেশি মূল্যবান। সুন্দরবনের লবণাক্ত পানি মানুষ খেতে পারে না। তাই বাওয়ালিদের সাথে করে পানি নিয়ে যেতে হয় এবং খুব সাবধানে ব্যবহার করতে হয়। পানি শেষ হয়ে গেলে সহজে খাওয়ার পানি পাওয়া যাবে না। এজন্যে সুন্দরবনে কাজ করার সময় খাবারের চেয়ে তাঁদের কাছে খাওয়ার পানি বেশি মূল্যবান।

৭। টং কী? বাওয়ালিরা কেন গাছের উপরে টং তৈরি করে?

টং হলো মাটি থেকে অন্তত ছয় ফুট ওপরে গাছের ডালপালার ভেতরে তৈরি ঘর। বাওয়ালিরা সুন্দরবন থেকে অনেক দূরে গ্রামে থাকেন। রোজ রোজ বাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভব হয় না। তখন তাঁরা বনের মধ্যেই থাকার ব্যবস্থা করে। রাতের বেলায় হিংস্র জন্তুরা তাঁদের আক্রমণ করতে পারে। তাই তাঁরা মাটি থেকে অন্তত ছয় ফুট ওপরে গাছের ডালপালার ভিতরে টং তৈরি করে।

৮। বাওয়ালিরা কেন কাঠ কাটেন?

বাওয়ালিরা অর্থ উপার্জনের জন্য কাঠ কাটে। সুন্দরবনে বিভিন্ন ধরনের হাজার হাজার গাছ আছে। এসব গাছের কাঠ অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। বাওয়ালিরা সারাদিন কাঠ কেটে সন্ধ্যায় বিক্রির জন্য সে কাঠ নিয়ে গ্রামে ফেরে।

৯। মৌয়াল ও বাওয়ালিদের কাজ বর্ণনা করি।

মৌয়ালদের কাজঃ মৌমাছিরা গাছে গাছে তাঁদের মৌচাক বানায়। আর মৌয়ালরা এসব গাছ থেকে মধু সংগ্রহ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

বাওয়ালিদের কাজঃ সুন্দরবনে বিভিন্ন ধরণের হাজার হাজার গাছ আছে। এই সব গাছ থেকে কাঠ পাওয়া যায়, যা অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। সুন্দরবনে যারা কাঠ কাটেন ও বিক্রি করেন, তাদেরকে বাওয়ালি বলে। তাঁরা রোজ গ্রাম থেকে বনে এসে কাঠ কাটেন, দিনের শেষে আবার কাঠ নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে গ্রামে ফিরে যান।