খলিফা হযরত উমর (রা)
প্রশ্ন উত্তর
মুখে মুখে উত্তর বলি
১। হযরত উমর (রা) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
হযরত উমর (রা) পবিত্র মক্কা নগরীতে ৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দে কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন।
২। তাঁর মাতাপিতার নাম কী?
তাঁর পিতার নাম খাত্তাব ও মাতার নাম হানতামাহ্ ।
৩। তিনি কীভাবে মুসলমান হলেন?
হযরত উমর (রা) প্রথমে ছিলেন ইসলামের ঘোরতর বিরোধী। মহানবি (স) কে হত্যা করার জন্য সে কোষমুক্ত তরবারি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। পথিমধ্যে জানতে পারেন যে, তাঁর বোন ফাতিমা ও ভগ্নিপতি সাঈদ মুসলমান হয়ে গেছেন। এতে তিনি ক্রোধে অস্থির হয়ে বোনের বাড়িতে উপস্থিত হন। তিনি ইসলামের প্রতি বোন ও ভগ্নিপতির দৃঢ়তা দেখে বিস্মিত হয়ে যান। তাঁর মানসিক পরিবর্তন ঘটে। তিনি মুসলমান হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন এবং নবি করিম (স) এর দরবারে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
৪। হযরত মুহাম্মদ (সা), উমর (রা) কে কী উপাধি দিয়েছিলেন?
মুসলমান হয়ে হযরত উমর (রা) দৃঢ় কন্ঠে ঘোষণা করলেন, ‘আর গোপনে নয়, এবার প্রকাশ্যে কাবা ঘরের সামনে সালাত আদায় করব’। মহানবি (স) খুশি হয়ে তাঁকে উপাধি দেন ‘ফারুক’ অর্থাৎ সত্য ও মিথ্যার প্রভেদকারী।
৫। হযরত উমর (রা) এর বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল?
খলিফা হযরত উমর (রা) এর বিচার ব্যবস্থা ছিল নিরপেক্ষ ও নিখুঁত। আইনের চোখে উঁচু- নিচু, ধনী-গরিব, আপন-পর কোনো ভেদাভেদ ছিল না। গুরুতর অপরাধে নিজের ছেলে আবু শাহ্মাকে তিনি কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি সাহাবিদের সাথে পরামর্শ করে সম্পাদন করতেন।
৬। প্রজাদের প্রতি হযরত উমর (রা) এর ভালোবাসার একটি উদাহরণ দাও।
হযরত উমর (রা) ছিলেন একদিকে কোমল, অন্যদিকে ছিলেন কঠোর। তিনি মানুষের দুঃখ কষ্টে ছিলেন ফুলের মতো কোমল। দেশের মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা অবহিত হওয়ার জন্য তিনি গভীর রাতে মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে বেড়াতেন। ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি নিজের কাঁধে আটার বস্তা বহন করে নিয়ে তাঁদের তাঁবুতে যেতেন। তিনি সহধর্মিণী উম্মে কুলসুমকে নিয়ে এক বেদুইনের ঘরে যান, তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য।
৭। হযরত উমর (রা) এর উপদেশগুলো কী কী?
ইসলামের এই মহান খলিফা নিজের জীবনে অনেক ভালো কাজ করেছেন এবং আমাদের জন্যও অনেক উপদেশ রেখে গেছেন। তাঁর দেওয়া উপদেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ ‘আগে আগে সালাম দেওয়া। কোনো কাজ করার আগে অভিজ্ঞ লোকদের পরামর্শ নেওয়া। যেকোনো কাজ মনোযোগ দিয়ে করা। সবার প্রতি সুবিচার করা’।
৮। কে মানুষের দুঃখ কষ্টে সমব্যথী ছিলেন?
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক (রা) মানুষের দুঃখ কষ্টে সমব্যথী ছিলেন। তিনি ছিলেন মানবদরদী ও জনগণের প্রকৃত নেতা।
৯। কেন আটার বস্তা কাঁধে নিয়ে হযরত উমর (রা) প্রজাদের তাঁবুতে যেতেন?
হযরত উমর (রা) মানুষের দুঃখ কষ্টে ছিলেন ফুলের মতো কোমল। দেশের মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা অবহিত হওয়ার জন্য তিনি গভীর রাতে মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে বেড়াতেন। ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি নিজের কাঁধে আটার বস্তা বহন করে নিয়ে তাঁদের তাঁবুতে যেতেন।
১০। ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনে হযরত উমর (রা) কী করতেন?
ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনে হযরত উমর (রা)ব্যথিত হতেন এবং নিজের কাঁধে আটার বস্তা বহন করে নিয়ে যেতেন।
১১। হযরত উমর (রা)- এর মানসিক পরিবর্তন ঘটে কীভাবে?
হযরত উমর (রা) প্রথমে ছিলেন ইসলামের ঘোরতর বিরোধী। তিনি যখন জানলেন, তাঁর বোন ফাতেমা ও ভগ্নিপতি সাঈদ ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তখন রাগে অস্থির হয়ে বোনের বাড়িতে উপস্থিত হন। তিনি ইসলামের প্রতি তাঁর বোন ও ভগ্নিপতির দৃঢ়তা দেখে মুগ্ধ হন। ফলে তাঁর মানসিক পরিবর্তন ঘটে এবং তিনি মহানবি (স) এর নিকট গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
১২। খলিফা হযরত উমর (রা) ক্রীতদাসকে উটে চড়িয়েছিলেন কেন?
খলিফা হযরত উমর (রা)ছিলেন জনদরদী শাসক। তাই সহানুভূতিশীল হয়ে কষ্ট ভাগ করে নেওয়ার জন্য ক্রীতদাসকে উটে চড়িয়েছিলেন।








