আমার বাংলা বই

প্রশ্ন উত্তর

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

১।  রাজপুত্র কোথায় বসে রাখাল বন্ধুর বাশি শুনত?

রাজপুত্র গাছতলায় বসে রাখাল বন্ধুর বাশি শুনত।

২।  রাজপুত্র রাখাল বন্ধুর কথা ভুলে যায় কেন?

রাজপুত্র একদিন রাজা হয়। লোকলস্কর, সৈন্যসামন্তে গমগম করে তার রাজপুরী। রাজপুরী আলো করে থাকেন রানি কাঞ্চনমালা। চারদিকে তার সুখের সীমা নেই। এত সুখের মধ্যে থেকে রাজপুত্র রাখাল বন্ধুর কথা ভুলে যায়।

৩।   রাজা কেন মনে করলেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তাঁর এই দশা?

রাজা তার রাখাল বন্ধুর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি রাজা হলে বন্ধুকে মন্ত্রী বানাবেন। কিন্তু রাজা হওয়ার পর এত সুখের মধ্যে তিনি তা ভুলে জান। আর এর পরই রাজার এই দুর্দশা দেখা দেয়। তাই তিনি মনে করলেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তাঁর এই দশা।

৪।  তোমার মা বাড়িতে কী ধরনের পিঠা বানায় লেখ।

আমার মা বাড়িতে ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, দুধপুলি, ক্ষীর মুরলি, চিতই পিঠা, নকশি পিঠা ইত্যাদি পিঠা বানায়।

৫।  অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে কী হতো?

অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে দুঃখ যন্ত্রণায় ভুগে ভুগে রাজার মৃত্যু হতো। আর নকল রানি কাঁকনমালা রাজ্যকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলল।

৬।  তুমি কী মনে কর অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেল?

আমি মনে করি, অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। কারণ অচেনা লোকটি না এলে রাজার শরীর থেকে লাখ লাখ সুচ খোলা সম্ভব হতো না।

৭।  কীভাবে লোকেরা নকল রানিকে বুঝে ফেলল?

রানিরা সাধারণত অনেক গুণসম্পন্না হয়ে থাকেন। কিন্তু নকল রানি কাঁকনমালার কোনো গুণ নেই। পিটকুড়ুলির ব্রতের দিন সে পিঠা বানায়। তা এমনই বিস্বাদ যে কেউ মুখে দিতে পারে না। সে আলপনা আঁকে এখানে এক খাবলা রং দিয়ে অখানে এক খাবলা রং দিয়ে। এসব দেখে লোকেরা নকল রানিকে বুঝে ফেলল।

৮।  রাজা কীভাবে তার প্রতিজ্ঞা পালন করলেন?

রাজপুত্র প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি রাজা হলে রাখালকে মন্ত্রী বানাবেন। রাজপুত্র রাজা হওয়ার পড় রাখালবন্ধুর কথা ভুলে যান। একদিন তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর শরীরে অসংখ্য সুচ গেঁথে আছে। তিনি বুঝতে পারেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তাঁর এমন হয়েছে। সেই বন্ধুর সাহায্যেই তিনি সুস্থ হলে বন্ধুর কাছে ক্ষমা চান। অবশেষে রাখালবন্ধুকে মন্ত্রী বানিয়ে তাঁর প্রতিজ্ঞা পালন করেন।

৯।  কাঞ্চনমালা এবং কঁকনমালার চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা কর।

কাঞ্চনমালা আসল রানি আর কাঁকনমালা নকল রানি। কাঞ্চনমালা সহজ-সরল, দয়ালু। কিন্তু কাঁকনমালা অহংকারী, অত্যাচারী। আসল রানি কাঞ্চনমালা অনেক গুণের অধিকারী। তিনি যেমন পিঠা বানান তার স্বাদ অপূর্ব। তার দেওয়া আলপনা সবাইকে মুগ্ধ করে। কিন্তু কাঁকনমালার বানানো পিঠা কেউ মুখেও দিতে পারে না। আর তার দেওয়া আলপনা দেখতে হয় খুবই বিশ্রী। মোট কথা, কাঁকনমালার মধ্যে কোনো গুণের প্রকাশই লক্ষ করা যায় না।

১০।  গল্পটা তোমার কেমন লেগেছে? বর্ণনা দাও।

গল্পটা আমার খুব ভালো লেগেছে। কারণ এই গল্প থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এই গল্প থেকে আমি শিখেছি বন্ধুত্বের মর্যাদা রক্ষা করা উচিৎ এবং বন্ধুর কাছে করা প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করলে শাস্তি পেতে হয়। তাছাড়া আমি জেনেছি মিথ্যাবাদী, অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।

অল্প কথায় উত্তর দেই।

১।  রাখাল ছেলে কখন বাঁশি বাজায়?

রাখাল ছেলে নিঝুম দুপুরে বাঁশি বাজায়।

২।  কাঁকনমালা নাম হলো কেন?

একদিন রানি ঘাটে স্নান করতে গিয়ে তার হাটের সোনার কাঁকন গিয়ে রাজার সুচ খোলার জন্য এক দাসী কেনেন। এ কারণেই দাসীর নাম কাঁকনমালা।

৩।  কাঁকনমালা কীভাবে রানি হয়ে গেল?

রানি কাঞ্চনমালা নিজের গায়ের গহনাগুলো কাঁকনমালার কাছে রেখে নদীতে ডুব দিতে গেলে চোখের পলকে কাঁকনমালা রানির শাড়ি আর সব গয়না পরে নেয়। এভাবে সে রানি সেজে নকল রানি হয়ে গেল।

৪।  রানি কাঞ্চনমালা দাসী কিনেছিলেন কেন?

রানি কাঞ্চনমালা রাজার শরীর থেকে সুচ খোলার জন্য এক দাসী কিনেছিলেন।

৫।  কাঞ্চনমালা মাথার বোঝা নামিয়ে কোথায় ছুটে গেল?

কাঞ্চনমালা মাথার বোঝা নামিয়ে অচেনা মানুষের কাছে ছুটে যায়।

৬।  পিটকুরুলির ব্রত কী?

পিটকুরুলির ব্রতের দিন রানিদের পিঠা বানায়ে বিলাতে হয়, এটাই নিয়ম।

৭।  রাজা তাঁর বন্ধুকে কী উপহার দিল?

রাজা তাঁর বন্ধুকে সোনার বাঁশি উপহার দিল।