- জাতীয় পতাকা
- জাতীয় সংগীত
- সূচিপত্র
- পাঠ ১ - এই দেশ এই মানুষ
- পাঠ ২ - সংকল্প
- পাঠ ৩ - সুন্দরবনের প্রাণি
- পাঠ ৪ - হাতি আর শিয়ালের গল্প
- পাঠ ৫ - ফুটবল খেলোয়াড়
- পাঠ ৬ - বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ
- পাঠ ৭ - ফেব্রুয়ারির গান
- পাঠ ৮ - শখের মৃৎশিল্প
- পাঠ ৯ - শব্দদূষণ
- পাঠ ১০ - স্মরণীয় যাঁরা চিরদিন
- পাঠ ১১ - স্বদেশ
- পাঠ ১২ - কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা
- পাঠ ১৩ - অবাক জলপান
- পাঠ ১৪ - ঘাসফুল
- পাঠ ১৫ - মাটির নিচে যে শহর
- পাঠ ১৬ - শিক্ষাগুরুর মর্যাদা
- পাঠ ১৭ - ভাবুক ছেলেটি
- পাঠ ১৮ - দুই তীরে
- পাঠ ১৯ - বিদায় হজ
- পাঠ ২০ - দেখে এলাম নায়াগ্রা
- পাঠ ২১ - রৌদ্র লেখে জল
- পাঠ ২২ - মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
- পাঠ ২৩ - শহীদ তিতুমীর
- পাঠ ২৪ - অপেক্ষা
- Home
- Elements
আমার বাংলা বই
পড়ি ও লিখি
কবিতার মূলভাব জেনে নিই।
‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ কবিতায় শিক্ষকের মর্যাদার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। কবিতায় শিক্ষক একজন সাধারণ মানুষ হওয়া সত্ত্বেও বাদশাহ আলমগীরের ছেলের দ্বারা পায়ে পানি ঢেলে নিয়েছিলেন। কিন্তু বাদশাহ আলমগীর এতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। বাদশাহ আলমগীর প্রত্যাশা করেছিলেন তাঁর সন্তান পানি ঢেলে নিজ হাতে শিক্ষকের পা ধুয়ে দেবেন। তবেই না তাঁর সন্তান নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। বাদশাহ আলমগীর উপলব্ধি করেছিলেন, যে ছাত্র তাঁর শিক্ষককে যথাযথ মর্যাদা দিতে জানে, শিক্ষকের সেবা করতে জানে না, সে কখনো পরিবার, সমাজ ও দেশের উপযোগী মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে পারে না।
শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতার মাধ্যমে আমরা উপলদ্ধি করতে পারি, শিক্ষা হলো একটি জাতির মেরুদন্ড, আর শিক্ষক হলেন কান্ডারি। তিল তিল করে নীরবে নিভৃতে শিক্ষক তাঁর আদর্শ দ্বারা জাতীয় আকাঙ্ক্ষার উপযোগী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলেন। সমাজ ও দেশের জন্য শিক্ষকের অবদান অপরিসীম। তাই সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা সবার উপরে।
নিচের কথাগুলো বুঝিয়ে লিখ।
‘যায় যাবে প্রাণ তাহে
প্রাণের চেয়েও মান বড়, আমি শুনাব শাহানশাহে।’
নিচের কথাগুলো বুঝে নিই।
শিক্ষকে ডাকি বাদশাহ কহেন, ‘শুনুন জনাব তবে,
পুত্র আমার আপনার কাছে
সৌজন্য কি কিছু শিখিয়াছে?
বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা,
নহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা।’








