আমার বাংলা বই

প্রশ্ন উত্তর

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

১।  বাদশাহ আলমগীরের পুত্রকে কে পড়াতেন?

বাদশাহ আলমগীরের পুত্রকে দিল্লির এক মৌলবি পড়াতেন।

২।  একদিন সকালে বাদশাহ কী দেখতে পেলেন?

একদিন সকালে বাদশাহ্‌ দেখতে পেলেন শাহজাদা একটি পাত্র হাতে নিয়ে শিক্ষকের পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছে, আর শিক্ষক নিজ হাতে পা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করছেন।

৩।  বাদশাহকে দেখে শিক্ষক প্রথমে কী ভাবলেন?

বাদশাহকে দেখে শিক্ষক প্রথমে ভাবলেন, আজ বুঝি তার নিস্তার নেই, সব বুঝি শেষ হয়ে যাবে। কারণ তিনি শাহ্‌জাদাকে পায়ে পানি ঢালতে বলেছিলেন। যা তিনি স্পর্ধার কাজ বলে ভেবেছিলেন।

৪।  ‘প্রাণের চেয়েও মান বড়’- শিক্ষক এ কথা বললেন কেন?

‘প্রাণের চেয়েও মান বড়’- কথাটি দ্বারা শিক্ষক আত্মসম্মানের দিকটি বোঝাতে চেয়েছেন। কেননা একজন মানুষের জীবনে মান-সম্মান সবচেয়ে বড় সম্পদ। একজন শিক্ষাগুরুর কাছে আত্মসম্মান জীবনের চেয়েও মূল্যবান। একথা বোঝাতেই শিক্ষক উক্ত কথাটি বলেছেন।

৫।  বাদশাহ আলমগীর শিক্ষককে প্রথমে কী বললেন?

বাদশাহ আলমগীর প্রথমে শিক্ষককের কাছে জানতে চাইলেন যে, শাহজাদা তাঁর কাছে আদব-কায়দা- সৌজন্য কিছু শিখেছে কিনা? বরং শিখেছে বেআদবি আর গুরুজনের প্রতি অবহেলা।

৬।  শিক্ষক কী বলে বাদশাহর সুনাম করলেন?

শিক্ষক এই বলে বাদশাহর সুনাম করলেন যে, তাঁর উদারতা ও মহানুভবতার জন্য আজ থেকে শিক্ষাগুরুর সর্বোচ্চ মর্যাদা রক্ষিত হলো।

৭।  শিক্ষাগুরুর কপালে চিন্তার রেখা কেন দেখা দিল?

শিক্ষাগুরু শাহাজাদার হাত দিয়ে ঢালা পানি দিয়ে পা ধুয়েছেন এবং তা বাদশাহ নিজ চোখে দেখেছেন। আতাকে স্পর্ধার কাজ মনে করে তাঁর কপালে চিন্তার রেখা দেখা দিল।

৮।  শিক্ষক কেন সবার শ্রেষ্ঠ?

শিক্ষক সবার শ্রেষ্ঠ কারণ -
শিক্ষক তাঁর শিক্ষাদান ও আদর্শ দ্বারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলেন। শিক্ষাদানের সময় শিক্ষন আমির-ফকির সম্পর্কে করেন না, তাঁর কাছে সবাই শিক্ষার্থী এবং তিনি তাঁদের গুরু।

৯।  বাদশাহ মনে ব্যাথা পেয়েছিলেন কেন?

শিক্ষকের প্রতি পুত্রের অবহেলামাখা আচরণ দেখে বাদশাহ মনে ব্যাথা পেয়েছিলেন। পুত্র শুধু শিক্ষকের পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছিল। কিন্তু বাদশাহ আশা করেছিলেন পুত্র নিজ হাতে শিক্ষকের পা ধুইয়ে দেবে।

১০।  তোমার শিক্ষকের প্রতি তুমি কী দায়িত্ব পালন করবে?

আমার শিক্ষকের প্রতি আমি নিচের তিনটি দায়িত্ব পালন করব-
শিক্ষকের আদেশ – নিষেধ মেনে চলব।
তাঁকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করব এবং তাঁর উপদেশ সাদরে গ্রহণ করব।
তাঁর বিপদে আপদে এগিয়ে যাব এবং তাঁর সেবা করব।

অল্প কথায় উত্তর দেই।

১।  বাদশাহ আলমগীর শিক্ষককে কোথায় ডেকেছিলেন?

বাদশাহ আলমগীর শিক্ষককে নিরালায় ডেকেছিলেন।

২।  শিক্ষক বাদশাহকে কীভাবে সম্মান জানালেন?

শিক্ষক বাদশাহকে কুর্ণিশ করে সম্মান জানালেন।

৩।  দিল্লির পতি কে?

দিল্লির পতি বাদশা আলমগীর।

৪।  শিক্ষকের পায়ে পানি ঢালার সময় কুমারের মন কেমন ছিল?

শিক্ষকের পায়ে পানি ঢালার সময় কুমারের মন আনন্দিত ছিল।

৫।  শিক্ষক বাদশাহকে ভয় না করার কারণ কী?

শিক্ষক মনে করেন, তিনি সবার কাছে মর্যাদার অধিকারী।