আমার বাংলা বই

প্রশ্ন উত্তর

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

১।  ভাবুক ছেলেটি আসলে কে ছিলেন?

ভাবুক ছেলেটি আসলে ছিলেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু।

২।  তিনি ছোটবেলায় কী কী নিয়ে ভাবতেন?

জগদীশচন্দ্র বসু ছোটবেলায় তাঁর চারপাশের প্রক্রিতিকে অবাক বিস্ময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করত। আকাশে মেঘ ডাকে। বিদ্যুৎ চমকায়। বাজ পড়ে। তিনি অবাক বিস্ময়ে ভাবেন কেন এমন হয়! ঝড়ে গাছপালা ভেঙ্গে গেলে তিনি ভাবেন, গাছ ভেঙ্গে গেল, ওদেরকে কাটলে ওরা ব্যাথ্যা পায় কিনা।

৩।  তিনি কবে, কোথা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন?

তিনি ১৮৭৪ সালে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

৪।  কখন থেকে তিনি ‘বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু’ হয়ে ওঠেন?

১৮৮৫ সালে জগদীশচন্দ্র বসু দেশে ফিরে এসে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পদে যোগ দেন। তখন দেশ পরাধীন। এ সময় একই পদের জন্য একজন ইংরেজ অধ্যাপক যে বেতন পেতেন, ভারতীয়রা পেতেন তাঁর তিন ভাগের দুই ভাগ। তিনি অস্থায়ীভাবে চাকরি করছিলেন বলে তাঁর বেতন আরও এক ভাগ কেটে নেওয়া হয়। আর প্রতিবাদে তিনি দীর্ঘ তিন বছর কোনো বেতন না নিয়ে কর্তব্য পালন করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ইংরেজ সরকার তাঁকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। সব বকেয়া পরিশোধ করে চাকরিতে স্থায়ী করে। তখন থেকেই তিনি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু হয়ে ওঠেন।

৫।  কোন সত্য প্রমাণ করে তিনি বেশি পরিচিতি লাভ করেন?

গাছেরও প্রাণ আছে- এই সত্য প্রমাণ করে তিনি বেশি পরিচিতি লাভ করেন।

৬।  তাঁর বক্তৃতার সফলতা সবচেয়ে বেশি ছিল কোন বিষয়ে?

বিদ্যুৎ রশ্মির সমাবর্তন বিষয়ে তাঁর বক্তৃতার সফলতা সবচেয়ে বেশি ছিল।

৭।  বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্রে তাঁর সফলতাকে কোন নামকরা বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার ক্ষেত্রে তাঁর সফলতাকে বিজ্ঞানী গ্যালিলিও ও নিউটনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

৮।  পলাতক তুফান নামে লেখাটির আগে কী নাম ছিল? তাঁর কোন বইয়ে এটি ছাপা হয়?

‘পলাতক তুফান’ নামে লেখাটির আগে নাম ছিল ‘নিরুদ্দেশের কাহিনি’। এটি পরে তাঁর ‘অব্যক্ত’ বইয়ে এটি ছাপা হয়।

৯।  অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি কী প্রতিষ্ঠা করেন?

অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ‘জগদীশচন্দ্র বিজ্ঞানমন্দির’ প্রতিষ্ঠা করেন।

১০।  ‘তাঁর প্রতিটি আবিষ্কার বিজ্ঞানজগতে এক একটি বিজয়স্তম্ভ।’এমন কথা কোন বিখ্যাত ব্যক্তি বলেছিলেন? কেন বলেছিলেন?

‘তাঁর প্রতিটি আবিষ্কার বিজ্ঞানজগতে এক একটি বিজয়স্তম্ভ।’ এমন কথা বিখ্যাত বিজ্ঞানি আইনস্টাইন বলেছিলেন। জগদীশচন্দ্র বসুই প্রথম আবিষ্কার করেন, গাছের প্রাণ আছে। তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গসৃষ্টি আবিষ্কার করেন। কোনো তার ছাড়া তরঙ্গ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণে সফলতা অর্জন করে। তাঁর প্রতিটি আবিষ্কার বিজ্ঞানজগতে এক একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে, বিজয়ের সূচনা করে। এ কারণে বিজ্ঞানি আইনস্টাইন এ কথা বলেছিলেন।

অল্প কথায় উত্তর দেই।

১।  স্যার জগদীশচন্দ্র বসুকে কারা নাইট উপাধি দেয়?

১৯১৫ সালে ব্রিটিশ-ভারত সরকার স্যার জগদীশচন্দ্র বসুকে নাইট উপাধি দেয়।

২।  জগদীশচন্দ্র বসু কোথায় এবং কোন সালে মৃত্যুবরণ করেন?

জগদীশচন্দ্র বসু ভারতের গিরিডিতে ১৯৩৭ সালের তেইশে নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

৩।  জগদীশচন্দ্র বসুর বেতন কেন কেটে নেওয়া হতো?

তৎকালীন পরাধীন ভারতে একজন ভারতীয় অধ্যাপক বেতন পেতেন ইংরেজ অধ্যাপকের তিন ভাগের দুই ভাগ।

৪।  জগদীশচন্দ্র বসু কীভাবে বিজ্ঞানী হয়ে উঠেন?

সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদের পর তাঁকে চাকরিতে স্থায়ী করে সকল বকেয়া পরিশোধ করা হয়। তখন থেকেই তিনি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র হয়ে ওঠেন।

৫।  স্যার জগদীশচন্দ্র বসুকে জেনে আমাদের মধ্যে কোন বিষয়ে আগ্রহ জন্মে?

স্যার জগদীশচন্দ্র বসুকে জেনে আমাদের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার বিষয়ে আগ্রহ জন্মে।