আমার বাংলা বই

প্রশ্ন উত্তর

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

১।  হিজরি কোন সালে বিদায় হজ অনুষ্ঠিত হয়?

হিজরি দশ সালে বিদায় হজ অনুষ্ঠিত হয়।

২।  আরাফাত-ময়দানে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখে নবিজির (স) মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল?

আরাফাত-ময়দানে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখে নবিজির (স) মন আনন্দে ভরে গেল। এত মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে দেখে তিনি অত্যন্ত খুশি হলেন।

৩।  মহানবি (স) তাঁর ভাষণে ক্রীতদাস-ক্রীতদাসী সম্পর্কে কী বলেছেন?

মহানবি (স) তাঁর ভাষণে ক্রীতদাস-ক্রীতদাসী সম্পর্কে বলেছেন, ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীরাও আল্লাহ্‌র বান্দা। তাঁদের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার কর না। তোমরা নিজেরা যা খাবে, তাদেরও তাই খেতে দেবে। নিজেরা যে কাপড় পরবে, তাদেরও তা পড়তে দেবে। কোনো ক্রীতদাস যদি নিজের যোগ্যতায় আমির হয়, তবে তাঁকে মেনে চলবে।

৪।  ধর্ম সম্পর্কে মহানবি (স) কী উপদেশ দিয়েছেন?

ধর্ম সম্পর্কে মহানবি (স) যে উপদেশ দিয়েছেন তা হলো - ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। নিজের ধর্ম পালন করবে। যারা অন্য ধর্ম পালন করে, তাদের ওপর তোমার ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কর না।

৫।  কোন চারটি কথা নবিজি (স) বিশেষভাবে মনে রাখতে বলেছেন?

যে চারটি কথা নবিজি (সঃ) বিশেষভাবে মনে রাখতে বলেছেন তা হলো -
১। আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা কর না।
২। অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা কর না।
৩। পরের সম্পদ অপহরণ কর না।
৪। কারও ওপর অত্যাচার কর না।

৬।  তিনি আমাদের কাছে কোন দুইটি জিনিস রেখে গেছেন?

তিনি আমাদের কাছে যে দুইটি জিনিস রেখে গেছেন সেগুলো হলো -
১। আল্লাহ্‌র বাণী অর্থাৎ কুরআন।
২। আল্লাহ্‌র প্রেরিত রাসুলের জীবনের আদর্শ।

৭।  নবিজি (স) কবে মক্কার পথে যাত্রা করলেন? সেখানে কী হয়েছিল?

নবিজি (স) দশম হিজরির যিলকাদ মাসের শেষ দিকে মক্কার পথে যাত্রা করলেন। সেখানে এর আগে যারা মহানবি (সঃ) কে দেখেনি তারা নবিজিকে একবার দেখার জন্য কাবাশরিফে এসে হাজির হয়।

৮।  কীসের আনন্দে নবিজি (স) এর চোখ-মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল?

নবিজি (স) দশম হিজরির যিলকাদ মাসের শেষ দিকে আরাফাতের ময়দানে লক্ষ লক্ষ জনতার সামনে প্রদত্ত ভাষণে তিনি আল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। তখন তাঁর মনে হয় যে, তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ আনন্দে তাঁর চোখ-মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল।

৯।  মহানবি (স) আরাফাত ময়দানে তাঁর ভাষণ শেষে কী বলে মানুষের কাছ থেকে বিদায় নিলেন?

মহানবি (স) আরাফাত ময়দানে তাঁর ভাষণ শেষে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হে আল্লাহ, আমি কি তোমার বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি?” লক্ষ কণ্ঠে ধ্বনিত হলো, “হ্যাঁ, আপনি পেরেছেন।” তখন মহানবি বললেন, “তোমরা সাক্ষী। আমি কর্তব্য পালন করেছি।” বিদায়।

১০।  মহানবি (স) এর ব্যক্তিত্ব কেমন? তাঁর চরিত্রের চারটি গুনের নাম লিখ।

মহানবি (স) ছিলেন ইসলামের শেষ নবি ও রাসুল। তিনি ছিলেন ন্যায়পরায়ন মহৎ এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। নিচের তাঁর জীবনের প্রতিফলিত চারটি গুণের নাম হলো-
১। সত্যবাদিতা
২। কোমলতা
৩। নিষ্ঠা
৪। সাম্যবাদী

অল্প কথায় উত্তর দেই।

১।  নবিজির কাছে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিল কেন?

হজ পালনের উদ্দেশ্যে নবিজির কাছে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিল।

২।  নবিজি (স) কত হিজরিতে স্থির করলেন সাহাবীদের সঙ্গে নিয়ে হজ পালন করবেন?

নবিজি (স) হিজরি দশ সালে স্থির করলেন সাহাবীদের সঙ্গে নিয়ে হজ পালন করবেন।

৩।  মহানবি (স) কোথায় কাবার আহ্বান অনুভব করলেন?

মহানবি (স) অন্তরের গভীরে কাবার আহ্বান অনুভব করলেন।

৪।  নবিজি (স) সাহাবীদের সঙ্গে কোন পথে যাত্রা করলেন?

নবিজি (স) সাহাবীদের সঙ্গে মক্কার পথে যাত্রা করলেন।

৫।  নবিজি (স) এর ভাষণকে বিদায় হজের ভাষণ কেন বলা হয়?

হজ উপলক্ষে আরাফাত ময়দানে সেই ভাষণটি ছিল নবিজির দেওয়া শেষ ভাষণ। তাই সেই ভাষণটি বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত।

৬।  কোন পাহাড়ে দাঁড়িয়ে নবিজি (স) সমবেত মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন?

জাবালে রাহমাত পাহাড়ে দাঁড়িয়ে নবিজি (স) সমবেত মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন।