আমার বাংলা বই

প্রশ্ন উত্তর

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

১।  মজলুম জননেতা কে ছিলেন? কেন তাকে মজলুম জননেতা বলা হয়?

মজলুম জননেতা ছিলেন মাওলানা হামিদ খান ভাসানী। চিরকাল নির্যাতন ও নিপীড়িত মানুসদের জন্য কাজ করেছেন বলে তাঁকে মজলুম জননেতা বলা হয়।

২।  মওলানা ভাসানী কোথায় পড়াশোনা করেন?

মওলানা ভাসানী ভারতের দেওবন্দ মাদরাসায় পড়াশোনা করেন।

৩।  কেন তাকে কাগমারি ছাড়তে হয়েছিল?

জমিদারদের বিষ নজরে পড়ে তাঁকে কাগমারি ছাড়তে হয়েছিল।

৪।  কীভাবে তার নাম মওলানা ভাসানী হলো?

আসামের ধুবড়ি জেলার ভাসানচরে এক সমাবেশ করতে গেলে সেখানকার সাধারণ কৃষকরা তাঁকে ভাসানচরের মাওলানা নাম দেয়। পড়ে তাঁকে নাম দেয়া হয় ভাসানী। এভাবে তাঁর নাম হয় মওলানা ভাসানী।

৫।  পল্টন ময়দানের ভাষণে তিনি যা বলেছিলেন তার বিষয়বস্তু কী?

পল্টন ময়দানের ভাষণে তিনি যা বলেছিলেন তার বিষয়বস্তু হলো -
১। পাকিস্তান সরকারের অত্যাচার ও নিপীড়ন।
২। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার প্রত্যাশা।

৬।  শিক্ষার ক্ষেত্রে মওলানা ভাসানী কী অবদান রেখেছেন?

শিক্ষার ক্ষেত্রে মওলানা ভাসানী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি টাঙ্গাইলের সন্তোষে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, মহীপুরে হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ, ঢাকায় আবুজর গিফারি কলেজ এবং টাঙ্গাইলে মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

৭।  মওলানা ভাসানীর জীবন থেকে তুমি কী শিখতে পেরেছ?

মওলানা ভাসানীর জীবন থেকে আমরা প্রগাঢ় স্বদেশপ্রেম, প্রগতিশীল আদর্শ ও প্রতিবাদী চেতনা শিখতে পেরেছি।

৮।  পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।

৯।  কেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে মজলুম জননেতা বলা হয়?

বাংলার কৃষক মজুর শ্রমিকদের অতি আপনজন, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। চিরকাল নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মজলুম মানুষের সুখে-দুঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের কথা বলেছেন। সংগ্রাম করেছেন। এ জন্যই তাঁকে মজলুম জননেতা বলা হয়।

১০।  মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন কেন?

পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা ধর্ম ও জাতীয় সংহতির নামে পূর্ব বাংলার মানুসেকে শোষণ করেছে। মাওলানা ভাসানী এ বিষয়টি বুঝতে পেরে জনগণকে সাথে নিয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলেন।

অল্প কথায় উত্তর দেই।

১।  মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পরিচয় লিখ।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর বাবা ছিলেন হাজী শরাফত আলী খান। মায়ের নাম মোসাম্মৎ মজিরন বিবি। তিনি ছিলেন বাংলার কৃষক-মজুর-শ্রমিকের অতি আপনজন, এজন্য তাঁকে বলা হতো মজলুম জননেতা।

২।  তিনি কার আদর্শে অনুপ্রাণিত হন?

তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন।

৩।  যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন কে?

মাওলানা ভাসানী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন।

৪।  ‘কাগমারি সম্মেলন’ নামকরণ হয়েছে কেন?

১৯৫৭ সালে মাওলানা ভাসানী টাঙ্গাইলের কাগমারিতে এক বিশাল আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্মেলনের আহ্বান করেন। কাগমারিতে অনুস্থিত হয় বলে এ সম্মেলনের নাম ‘কাগমারি সম্মেলন’।

৫।  মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কত বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন?

১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ৯৬ বছর বয়সে ঢাকা মেদিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই মহান নেতা মৃত্যু বরণ করেন।