আমার বাংলা বই

পড়ি ও লিখি

নিচের শব্দগুলো দিয়ে যা বুঝি তা লিখি।

মৃৎশিল্প

উত্তর দেখি

মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে বলা হয় মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলাে মাটি। তবে সব ধরনের মাটি দিয়ে এ শিল্প তৈরি করা যায় না। এঁটেল মাটি বেশ আঠালাে বলে এ মাটি দিয়েই মৃৎশিল্প তৈরি করা হয়।

শখের হাঁড়ি

উত্তর দেখি

শখের হাঁড়ি একটি মৃৎশিল্প। শখ করে পছন্দের জিনিস এ সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়, তাই এর নাম শখের হাঁড়ি। এ হাঁড়িতে বিভিন্ন ধরনের নকশা আঁকা থাকে।

টেরাকোটা

উত্তর দেখি

টেরাকোটা একটি ল্যাটিন শব্দ। টেরা অর্থ ‘মাটি' আর কোটা অর্থ ‘পােড়ানাে'। পােড়ামাটির তৈরি মানুষের ব্যবহারের সব রকমের জিনিস টেরাকোটা হিসেবে পরিচিত। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতাে পুড়িয়ে তৈরি করা হয় এ টেরাকোটা।

টেপা পুতুল

উত্তর দেখি

টেপা পুতুল মাটির তৈরি পুতুল। কুমাররা নরম এঁটেল মাটির চাক হাতে নিয়ে টিপে টিপে নানা আকারের, নানা ধরনের পুতুল তৈরি করে থাকেন। মাটি টিপে টিপে এসব পুতুল তৈরি করা হয় বলে এগুলাের নাম টেপা পুতুল। বউ-জামাই, কৃষক, নথপরা ছোট্ট মেয়ে ইত্যাদি নানারকমের টেপা পুতুল পাওয়া যায়।

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ি এবং প্রশ্নগুলারে উত্তর লিখি।

যখন কোনো কিছু সুন্দর করে আঁকি বা বানাই অথবা গাই, তখন তা হয় শিল্প। শিল্পের এ কাজকে বলে শিল্পকলা। আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে মাটির জিনিস, যেমন-কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসনকোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরও কত কী! মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে আমরা বলি মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। মাটি হলেই যে তা দিয়ে শিল্পের কাজ করা যাবে তাও নয়। এজন্য অনেক যত্ন আর শ্রম দরকার। দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান। কুমারদের কাছে এসব খুব সহজ। কারণ তারা বংশ পরম্পরায় এ কাজ করে আসছেন।

ক।  শিল্পকলা বলতে কী বোঝ?

কোনাে কিছু সুন্দর করে আঁকা, নিপুণভাবে তৈরি করা বা সুন্দর গান গাওয়া এ সবকিছুই শিল্পের অন্তর্গত। শিল্পের এসকল কাজকেই শিল্পকলা বলে।

খ।  শিল্পের কাজের জন্য কী কী প্রয়োজন?

শিল্পের কাজের জন্য প্রয়ােজনীয় উপকরণের সাথে দরকার যত্ন ও শ্রম। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ হলাে শিল্পীর হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান

গ।  কেন কুমারদের কাছে এসব কাজ সহজ?

কুমাররা যুগযুগ ধরে বংশ পরম্পরায় এসব কাজ করে আসছেন। তাই তাদের কাছে এসব কাজ সহজ। বাংলাদেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে মাটির জিনিস তৈরি করে আসছেন।

কথাগুলো বুঝে নিই।

কান্তজির মন্দির

১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে মহারাজা রামনাথ রায় দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির নির্মাণ করেন। এ মন্দিরের গায়ে স্থাপিত অপূর্ব সুন্দর টেরাকোটা বাংলার মাটির শিল্পের প্রাচীন নিদর্শন।

পাহাড়পুর নওগাঁ

জেলার পাহাড়পুরে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন সোমপুর বিহার। এই সোমপুর বিহারের আশ-পাশের বড় বৌদ্ধ মন্দিরে পাওয়া গেছে অনেক সুন্দর টেরাকোটা। এগুলো অষ্টম শতকের অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় বারো শ বছর আগের তৈরি।

শালবন বিহার

কুমিল্লার ময়নামতিতে মাটি খুঁড়ে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন। অষ্টম শতকের এই পুরাকীর্তি বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার পরিচায়ক। শালবন বিহারে পাওয়া গেছে নানা ধরনের পোড়ামাটির ফলক।

মহাস্থানগড়

বগুড়া শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত মহাস্থানগড়। যিশু খ্রিষ্টের জন্মের পূর্বে তৃতীয় থেকে পরবর্তী পনেরো শতকে বাংলার এ প্রাচীন নগর গড়ে ওঠে। মহাস্থানগড়ে পাওয়া গেছে অনেক পোড়ামাটির ফক,পাত্র, অলংকার ও মূর্তি।