আমার বাংলা বই

প্রশ্ন উত্তর

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

১।  অমিত শক্তিধর কাকে বলা হয়েছে?

অমিত শক্তিধর বলা হয়েছে হাতিকে।

২।  বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ কী?

অনেকদিন আগে বেশ শান্তিতেই বনের পশুদের দিন কাটছিল। হঠাৎ একদিন প্রকাণ্ড শরীরের তিরিক্ষি মেজাজের একটা হাতি বনে ঢুকে পড়ল। হাতিটা বনে ঢুকে তুলকালাম কাণ্ড শুরু করল। বনের সব প্রাণীদের ওপর তার অত্যাচার বেড়েই চলল। তার আচরণ দেখে মনে হলাে, সেই বনের রাজা। তার এ ধরনের আচরণের কারণেই বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে এলাে।

৩।  গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গল্পে হাতির অত্যাচারে যখন সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়ল সে সময় বুদ্ধিমান শিয়াল হাতিটাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য একটি উপায় বের করল। প্রকাণ্ড শরীরের হাতিটা শিয়ালের ফাঁদে পা দিয়ে নদী পার হতে গিয়ে আর উঠতে পারল না। এভাবে বনের সব প্রাণীরা অত্যাচারী হাতি থেকে রক্ষা পেল । সকলেই সমস্বরে বলতে লাগল— আমরা এখন মুক্ত স্বাধীন।' গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে হাতির অত্যাচার থেকে বনের অন্যান্য প্রাণীদের রক্ষা পাওয়াকে বােঝানাে হয়েছে।

৪।  শিয়াল হাতিকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিদের কী হতো ব্যাখ্যা কর।

অহংকারী হাতির অত্যাচারে বনের পশুপাখিরা সবসময় তটস্থ থাকত। শিয়াল হাতিকে শাস্তি না দিলে তাদের পরিণাম হতাে ভয়াবহ। হাতিটা দিনে দিনে আরাে বেশি অত্যাচারী হয়ে উঠত। অনেক পশুপাখিকে হয়তাে সে মেরে ফেলত। তার শক্তি ও সাহস দিয়ে বনে সে রাজা হয়ে ওঠার চেষ্টা করত। অন্যান্য পশুপাখিরা তাদের শান্তি ও স্বাধীনতা হারাত।

৫।  হাতির এই শাস্তির জন্য তার চরিত্রের কোন বিষয়গুলো দায়ী বলে তুমি মনে কর।

হাতির এই শাস্তির জন্য তার চরিত্রের যে বিষয়গুলােকে আমি দায়ী মনে করি সেগুলাে হলাে:

১. অহংকার;
২. তিরিক্ষি মেজাজ;
৩. অন্যান্য প্রাণীর ওপর অত্যাচার;
৪. একরােখা স্বভাব।

৬।  মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন মিলেমিশে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন?

মানুষ যখন সভ্য হচ্ছে তখন নতুন সভ্যতা গড়ার জন্য মিলেমিশে থাকার প্রয়ােজন হলাে। সমাজে নানা দিক দিয়ে আমরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। সকলে মিলেই নিয়ম-কানুন মেনে চলার মধ্য দিয়ে পৃথিবীকে সুন্দর করতে পারি। এরকম উপলব্ধি থেকে মানুষ সভ্য হওয়ার সাথে সাথে মিলেমিশে থাকার প্রয়ােজন অনুভব করল।

৭।  সবাই মিলে শিয়ালকে দায়িত্ব দিল কেন?

শিয়ালকে অধিকতর বুদ্ধিমান মনে করায় সবাই মিলে তাকে দায়িত্ব দিল। হাতির অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বনের সব পশুরা | একদিন সিংহের গুহায় জড়াে হয়। সবাই শলা-পরামর্শ করে | শিয়ালকে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও উপযুক্ত মনে করে। এ কারণেই সবাই মিলে দায়িত্বটি শিয়ালকে দিল।

৮।  শিয়াল কীভাবে বনের পশুপাখিকে রক্ষা করলো

শিয়াল তার বুদ্ধিমত্তা ও কৌশল দিয়ে হাতির অত্যাচার থেকে বনের পশুপাখিকে রক্ষা করল। একদিন শিয়াল হাতির | আস্তানায় ঢুকে তাকে খুশি করার জন্য সালাম দিয়ে বলল, আপনি তাে বনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী। আপনাকে রাজা হিসেবে বরণ করে নেওয়ার জন্য সবাই নদীর ওপারে উদগ্রীব হয়ে বসে আছে। শিয়ালের বুদ্ধির ফাদে পা দিয়ে নির্বোধ হাতি খুশি হয়ে নদীতে ঝাপ দিল। তারপর প্রকাণ্ড শরীর নিয়ে আর উঠতে পারল না। এভাবে ' শিয়াল তার বুদ্ধির কৌশলেই বনের পশুপাখিকে রক্ষা করল।

৯।  অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত কী হয়?

অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম খুবই ভয়াবহ হয়। তার ' বিপদে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না। অহংকারী ও অত্যাচারীকে কেউ পছন্দ করে না।

১০।  হাতিটি কীসের অহংকার করত?

হাতিটি তার শরীরের অসীম শক্তির জন্য অহংকার করত।

১১।  হাতিটিকে দেখে বনের সব পশুপাখি ভয় পেল কেন?

হাতিটির শরীরে অসীম শক্তির পাশাপাশি তার মেজাজটাও ছিল তিরিক্ষি। আর তাই প্রাণের ভয়ে বনের অন্য প্রাণীরা হাতিটিকে ভয় পেত।

১২।  নতুন বনে ঢুকে হাতিটি তোলপাড় শুরু করল কেন?

হাতিটি তার শক্তি ও মেজাজ দেখিয়ে বনের রাজা হতে চেয়েছিল। আর তাই নতুন বনে ঢুকে নিজের শক্তি দেখানাের জন্য তােলপাড় শুরু করে।

অল্প কথায় উত্তর দেই।

১।  মেদেনী কেঁপে উঠল কেন?

হাতির চিৎকারে।

২।  হাতিটার স্বভাব কীরূপ?

অহংকারী।

৩।  হাতিটার পা’গুলো কেমন ছিল?

মোটা।

৪।  হাতির হুঙ্কার শুনে পাখিরা কী করল?

ডানা ঝাপটাল।

৫।  হাতিটি কী নিয়ে অহংকার করত?

শক্তি।

৬।  হাতির শুঁড়ে কে কামড় দিল?

পিঁপড়ের সর্দার।

৭।  হাতি কী খেয়ে জিরিয়ে নিচ্ছিল?

এক ঝাড় কলাগাছ।

৮।  চাষিরা পাহাড়ের ঢালে কী চাষ করত?

জুম চাষ।

৯।  কে বুড়ির জুম ধান সাবাড় করেছে?

হাতি।

১০।  কে তাড়া খেয়ে বনে ঢুকে পড়ল?

হাতি।

১১।  ইঁদুরের সাথে মাটির তলায় কে লুকিয়ে ছিল?

গুবরে পোকার দল।

১২।  শিয়াল হাতির কাছে কেন এসেছে?

হাতিকে শিক্ষা দিতে।

১৩।  শিয়াল কীভাবে হাতিকে শায়েস্তা করল?

বুদ্ধি দিয়ে।

১৪।  বনের পাখি আর প্রাণীদের দিনগুলো কেমন কাটছিল?

শান্তিতে।

১৫।  হাতিকে কেউ বাঁচাতে আসল না কেন?

হাতির অত্যাচারের জন্য।