প্রচণ্ড গরম, কোথাও লোকজন নেই। গরমে নদী-নালা সব শুকিয়ে গেছে। দুপুরবেলা, গাছের ডালে একটা কাক বসে ‘কা’ ‘কা’ করে ডাকছে। তার খুব পানি পিপাসা পেয়েছে। গলা শুকিয়ে গেছে। ঠোঁট জ্বলে যাচ্ছে। এক ফোঁটা পানির আশায় সে এদিক ওদিক উড়ে বেড়াচ্ছে। চারপাশে কোথাও পানির চিহ্ন মাত্র নেই। কাক ভাবলো কি করা যায়!
অবশেষে সে একটি বাড়ির সামনে এসে দেখতে পেল একটা কলসি পড়ে রয়েছে। খুব খুশি হয়ে অনেক আশা নিয়ে সে কলসির কাছে উড়ে গেল। কিন্তু হায়! পানি যে কলসির অনেক নিচে, একেবারে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তার ঠোঁট তো ঐ পর্যন্ত পৌঁছাবে না। কাক ভাবতে লাগলো কি করে ঐ পানি পান করা যায়!
হঠাৎ তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। কলসির চারপাশে অনেক পাথরের টুকরো পড়েছিল। সে একটা একটা করে পাথরের টুকরো ঠোঁটে নিয়ে কলসির মধ্যে ফেলতে লাগলো। অনেকগুলো পাথর ফেলার পর তলার পানি ক্রমশঃ উপরের দিকে উঠে এলো। কাক পরম তৃপ্তিতে পানি পান করে ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল।