গ্রীষ্মকাল, নীল আকাশের নিচে অপরূপ সুন্দর প্রকৃতি। এই সময় বনে অনেক খাবার পাওয়া যায়। এমনই একদিন ফড়িং পেটভরে খেয়ে তাই-রে-নাই-রে-না করে গান গেয়ে সময় কাটাচ্ছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেলো তার বন্ধু পিঁপড়ে ভায়েরা লাইন দিয়ে খাবার মুখে নিয়ে চলেছে। ফড়িং পিঁপড়েদেরকে বললো “তোমারা এত লোভী কেন? সারাদিনই খাদ্য সংগ্রহে ব্যস্ত রয়েছে। এমন সুন্দর দিনে কোথায় একটু আনন্দ করবে, গান গাইবে, তা না- কেবল কাজই করে চলেছ। তোমাদের দেখে সত্যই আমার খুব দুঃখ হচ্ছে ভাই।” পিঁপড়েরা তখন বললো “বন্ধু ফড়িং, আমরা আগামী শীতের জন্য খাবার সংগ্রহ করে রাখছি।”
গ্রীষ্ম গিয়ে বর্ষা এলো। খাদ্যের অভাব দেখা দিল। তারপর শীতেরও আগমন হল। সবাই যে যার ঘরে বন্দী। ফড়িং এর এমন অবস্থা হল, না খেতে পেয়ে মরার জোগাড়।
নিরুপায় হয়ে একদিন সে বন্ধু পিঁপড়ের ঘরে গিয়ে হাজির হল এবং তাদের কাছে খাবার চাইলো। কারণ দুই দিন ধরে সে কিছুই খায়নি। পিঁপড়েরা তখন বললো “গরমের দিনে তুমি গান গেয়ে দিন কাটিয়েছো, বর্ষায় তুমি নেচে নেচে বেড়িয়েছো। এখন তুমি যা ইচ্ছা তাই করগে যাও। তোমার মত অলসকে আমরা একদানা খাবারও দেবো না।” এই বলে দড়াম করে দরজা বন্ধ করে দিল। বেচারা ফড়িং বুঝতে পারলো কাজের সময় কাজ না করায় আজ তার এই দুর্দশা।