জঙ্গলে এক সিংহ বাস করতো। একদিন তার খুব খিদে পেলো। ফলে সে শিকারের সন্ধানে গুহা থেকে বেরিয়ে এলো। বাইরে এসে সে দেখতে পেলো একটা গাছের নিচে ছোট একটা খরগোশ মনের আনন্দে খেলে বেড়াচ্ছে। নাদুস নুদুস খরগোশকে দেখে সিংহের মুখে পানি এসে গেলো। সে গুটি গুটি পায়ে তার দিকে এগিয়ে গেল তাকে ধরবার জন্য। সিংহকে দেখে খরগোশ দৌড়ে পালাতে গেল কিন্তু সিংহ এক লাফে তাকে ধরে ফেলল। খরগোশ ভয়ে কাঁপতে লাগলো।
খরগোশকে মারার জন্য যেই না সিংহ থাবা মারতে গেল তখুনি একটু দূরে সে একটা হরিণ শাবককে দেখতে পেলো। সিংহ ভাবলো “এই ছোট্ট বাচ্চা খরগোশটাকে খেয়ে আমার তো পেট ভরবে না, তার চেয়ে ভালো আমি ঐ হরিণটাকে যদি মেরে খাই।” এই ভেবে সে খরগোশকে ছেড়ে দিলো এবং হরিণের পেছনে দৌড়াতে লাগলো। হরিণ ভয় পেয়ে লম্বা লম্বা পা ফেলে দৌড়ে বনের মধ্যে পালিয়ে গেল। অনেক চেষ্টা করেও সিংহ হরিণকে ধরতে পারলো না। অবশেষে ক্ষুধার্ত সিংহ ক্লান্ত হয়ে হরিণের আশা ছেড়ে দিলো। খরগোশকে হাতে পেয়েও ছেড়ে দেবার জন্য সে আফসোস করতে লাগলো। আর বসে বসে হাঁপাতে লাগলো।