এক ক্ষুধার্ত লোভী নেকড়ে রাতের খাবার খাচ্ছিল। সেদিন খাবারে সুস্বাদু মাংস ছিল। ফলে সে খুব তাড়াতাড়ি খেতে লাগলো। হঠাৎ একটা মাংসের হাড় তার গলায় আটকে গেল। সে নানা উপায়ে হাড় বের করার চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না।
নেকড়ে ভাবলো “যদি আমি গলার কাটাটা বের করতে না পারি তবে কি হবে? মহা বিপদে পড়ে গেল। আমি তো তাহলে কিছুই খেতে পারবো না। ফলে ক্ষুধায় কাতর হয়ে মরে যাব।”
অনেক চিন্তা করে নেকড়ে নদীর ধারে এক বকের কাছে গিয়ে হাজির হলো। সে তখন বককে বললো “ভাই বক, আমার গলায় মাংসের হাড় ফুটে গেছে। তুমি তোমার লম্বা ঠোঁট আমার মুখে ঢুকিয়ে হাড়টা বের করে দেবে ভাই? আমি তোমায় এই কাজের জন্য অবশ্যই মূল্য দেবো।”
বক নেকড়েকে সাহায্য করতে এক কথায় রাজি হয়ে গেল। নেকড়ে মহাখুশি, সঙ্গে সঙ্গে হাঁ করে বসলো। বক তখন তার লম্বা ঠোঁট নেকড়ের মুখে ঢুকিয়ে হাড়টা অনায়াসে হাড় বের করে আনলো। নেকড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো।
বক তখন বললো “নেকড়ে মামা, এবার আমার পাওনাটা দাও।”
নেকড়ে অবাক হয়ে জবাব দিলো “কিসের পাওনা ভায়া? পাওনার কথা ভুলে যাও আর পরম করুণাময়কে ধন্যবাদ দাও যে তুমি আমার মুখে তোমার ঠোঁট ঢুকিয়ে নিরাপদে সেই মাথা আবার বের করে আনতে পেরেছো।” এই বলে সে হাসতে হাসতে চলে গেল। আর বক বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকলো।