বনের রাজা সিংহ একবার ঘোষণা করলো প্রতিদিন তার একটা করে পশু খাবারের জন্য চাই। জঙ্গলের সব পশুপাখি সভা ডেকে ঠিক করলো তাদের মধ্যে থেকেই পালা করে এক একজন সিংহের গুহায় যাবে। একদিন খরগোশের ডাক পড়লো । চালাক খরগোশ ভাবতে লাগলো কি উপায়ে এই দুষ্ট সিংহকে মারা যায়!
ধীরে ধীরে সে সিংহের গুহার দিকে এগিয়ে চললো। সিংহের খাবার সময় পার হয়ে গেল তবু কারো দেখা নেই। রাগে সিংহ গর্জন করতে লাগলো। খরগোশকে দেখতে পেয়ে সে চিৎকার করে বললো “তুমি এত দেরি করে কেন এসেছো?”
খরগোশ নম্রভাবে জবাব দিল “মহারাজ, অন্য আর একটা সিংহ আমায় তাড়া করেছিল। অনেক কষ্টে আমি পালিয়ে আপনার কাছে এসেছি।”
সিংহ রাগে গর্জে উঠে বললো, “এই জঙ্গলে আমি ছাড়া অন্য সিংহ কে আছে যার এত স্পর্ধা বলতো?”
“আজ্ঞে হ্যা মহারাজ আছে বৈকি, সে কোথায় থাকে তাও আমি জানি।” খরগোশ বললো, “আপনি যদি দয়া করে আমার সাথে আসেন আমি আপনাকে দেখাতে পারি।”
সিংহ রাজি হয়ে খরগোশের পিছনে পিছনে চললো। খরগোশ তাকে একটা কুয়োর কাছে নিয়ে বললো “এর ভিতরে সে থাকে প্রভু, আপনি একটু ঝুঁকলেই দেখতে পাবেন।”
সিংহ ঝুঁকে কুয়োর পানিতে তার নিজের ছায়া দেখতে পেলো। মূর্খ সিংহ ভাবলো সত্যিইতো, অবিকল তারই মত আর একটা সিংহ বসে আছে। সে রাগে গর্জে উঠলো এবং দেখলো পানির সিংহও তাকে দেখে গর্জন করছে। ক্রোধে উত্তেজিত হয়ে সে কুয়োর পানিতে ঝাপ দিল। সাথে সাথেই সে ডুবে মরে গেল। খরগোশ মনের আনন্দে বনে চলে গেল। বনের অন্য পশুরাও দুষ্ট সিংহের গ্রাস থেকে পরিত্রাণ পেল।