ইবাদত

 পাঠ ৪

ইবাদত

‘ইবাদত’ আরবি শব্দ। এর অর্থ দাসত্ব বা আনুগত্য। আল্লাহর দাসত্ব ও আনুগত্যই হলো ইবাদত। আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য স্বীকার করে তার যাবতীয় আদেশ নির্দেশ মেনে চলাকে ইবাদত বলে।

ইবাদত শব্দটির অর্থ ব্যাপক। যেমনঃ সালাত আদায় করা, কুরআন তিলাওয়াত করা, রোগীর সেবা করা, কথা বলার সময় সত্য কথা বলা সবকিছুই ইবাদত। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। ইবাদত করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন।
ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। সেগুলো হচ্ছে -

১। ইমান
২। সালাত
৩। সাওম
৪। হজ
৫। যাকাত

ইতিমধ্যেই আমরা ইমান সম্পর্কে জেনেছি। ইমানের পরেই সালাতের স্থান। সালাত সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
দিনে-রাতে মোট পাঁচবার সালাত আদায় করতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত হলো -

১। ফজর
২। যোহর
৩। আসর
৪। মাগরিব
৫। ইশা

সাত বছর বয়স থেকে সকল মুসলমানদের ওপর সালাত আদায় করা ফরজ করা হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালার হুকুম ও রাসুল (স) এর দেখানো পথে যে কোনো ভালো কাজ করাও ইবাদত। যেমনঃ শিক্ষা লাভ করা, সবসময় সত্য কথা বলা, মিথ্যা না বলা, সালাম দেওয়া, মা-বাবার কথামতো চলা, রোগীর সেবা করা, ইয়াতীম-মিসকিনকে সাহায্য করা, খাওয়া-পরা, ঘুমানো, দৈনন্দিন কাজ করা, শরীরচর্চা করা, জীবে দয়া করা ইত্যাদি।

তাই আমরা আন্তরিকতার সাথে সর্বদা ইবাদত পালন করব। আমাদের জীবন সর্বক্ষণই যাতে আল্লাহর ইবাদতে গণ্য হয় সে চেষ্টা অব্যাহত রাখব।