দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

  পাঠ ৬

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম। ইসলামে রয়েছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব সমস্যার সঠিক সমাধান। আর এতে রয়েছে মৃত্যুর পর আখেরাতের অনন্ত জীবনে নিশ্চিত সুখ-শান্তি লাভের উপায়। জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামই হচ্ছে আমাদের আদর্শ ও আলোকবর্তিকা।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন -

উচ্চারণঃ ইন্নাদ্দীনা ‘ইনদাল্লা-হিল ইছলা-মু

অর্থঃ ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।’

(সুরা আল-ইমরানঃ আয়াত ১৯)

দৈনন্দিন জীবনে সবসময় সকলের উচিত আল্লাহকে স্মরণ করা, আল্লাহকে ভয় করা এবং আল্লাহর বিধি মোতাবেক জীবনযাপন করা। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ যেমন ইসলামের অনুসরণ করবে, তেমনি অন্য মানুষকে ইসলাম অনুসরণ করতে উৎসাহ দিবে।

আমাদের জীবনে প্রতিটি ভালো কাজের জন্য বিভিন্ন দোয়া রয়েছে যা মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) তাঁর দৈনন্দিন জীবনে পালন করেছেন। এই দোয়াসমুহ পড়ে সেই কাজগুলো করলে কাজে যেমন বরকত ও সফলতা আসে, তেমনি সওয়াবও লাভ হয়।

সালাম বিনিময়ঃ

সালাম একটি সম্মানজনক অভ্যর্থনামূলক ইসলামী অভিবাদন যার মাধ্যমে শান্তির জন্য দোয়া করা হয়। সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে মানুষ যেমন পরস্পর পরস্পরের জন্য দোয়া করেন তেমনি প্রীতিময় সুন্দর সুসম্পর্ক ও মনের মিল তৈরি হয়।

সালাম পুণ্যময় একটি ইবাদত। ইসলামে সালামের গুরুত্ব অপরিসীম। সালাম একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ শান্তি, প্রশান্তি, কল্যাণ, দোয়া, শুভকামনা। ‘আস-সালাম’ আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে একটি অন্যতম নাম এবং জান্নাতের নাম সমূহের মধ্যে একটি জান্নাতের নাম।

আল্লাহ তা’য়ালা সর্বপ্রথম আদমকে (আ) সালামের শিক্ষা দেন। হযরত আদম (আ) কে সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তায়ালা’ তাকে ফেরেশতাদের সালাম দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি সালাম দিলে ফেরেশতারাও এর উত্তর দেন।

একজন মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের দেখা হলে কথা বার্তার আগে সালাম দিতে হবে।

সালামঃ اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ - আসসালামু আলাইকুম

অর্থঃ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সালামের জওয়াবঃ وَعَلَيْكُمُ السَّلَام - ওয়া আলাইকুমুস সালাম

অর্থঃ আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক।

মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) বলেন, যখন দুই জন মুসলমানের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হয়, সালাম-মুসাফাহা (হাতে হাত মেলায়) করে তখন একজন অপরজন থেকে পৃথক হওয়ার আগেই তাদের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

শুধু দেখা-সাক্ষাতেই সালাম সীমাবদ্ধ নয় বরং কারো সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে গিয়ে ঘরে প্রবেশের আগে সালাম দেয়া জরুরি। আবার বাহিরের কাজ শেষে নিজ বাড়িতে গিয়ে ঘরে প্রবেশের সময় সালাম দিতে হবে।

সালাম হলো ইমানের অঙ্গ এবং জান্নাতে প্রবেশের একটি রাস্তা। যে আগে সালাম দিবে সে বেশি সওয়াব পাবে। হযরত মুহাম্মদ (স) ছোট বড় সবাইকে আগে সালাম দিতেন এবং সবাইকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন।

সালাম বিনিময়ে সঠিক উচ্চারণের গুরুত্বঃ

উপরোল্লিখিত সঠিক উচ্চারণ ছাড়া ‘স্লামালিকুম’, ‘আস্লামালেকুম’ ‘আসসামালাইকুম’, অলাইকুম সালাম, অলাইকুম আস-সালাম সহ যতরকম ভুলভাল উচ্চারণ প্রচলিত আছে, তা সজ্ঞানে বর্জন করতে হবে।

কেননা এসব ভুল উচ্চারণ কখনো সালামের অর্থকে পরিবর্তন করে দেয় অথবা সালামকে করে দেয় নিরর্থ। যেমনঃ ‘আসসামু আলাইকুম’ বা আরও ভুল উচ্চারণে ‘আসসামালাইকুম’ অর্থ হয়–‘আপনার মৃত্যু হোক’।
অতএব, এখন থেকে যখনই কাউকে সালাম দিব, এর অর্থ অন্তরে অনুভব করে যথাসম্ভব সঠিক উচ্চারণে দিব।

আল্লাহু আকবারঃ

আল্লাহু আকবার (الله أكبر‎) এর অর্থ আল্লাহ তায়ালা সর্বশ্রেষ্ঠ।

আল্লাহু আকবার বললে আল্লাহ বরকত দেন। আযান দেওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলতে হয়। আল্লাহু আকবার বললে শয়তান অনেক দূরে চলে যায়। হালাল প্রাণী (যেমনঃ হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল ইত্যাদি) জবাই করার সময় আল্লাহু আকবার বলতে হয়।

আলহামদুলিল্লাহঃ

আলহামদুলিল্লাহ (اَلْحَمْدُ لِل) এর অর্থ সকল প্রশংসা আল্লাহরই।

ভালো কোনো কিছু দেখলে বা শুনলে এবং কোন ভালো কাজ শেষ করলে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা বা ধন্যবাদ স্বরূপ আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। এটি সর্বোত্তম দোয়া।

কেউ আলহামদুলিল্লাহ বললে আল্লাহ তাকে আল্লাহ সওয়াব দিবেন। আরো ভাল রাখবে। অবস্থার আরো উন্নতি করে দেবে। ভাল থেকে আরো ভাল করে দেবেন। আলহামদুলিল্লাহ না বললে অবস্থা যা আছে ওটাকে আরো খারাপ করে দেবেন।

সুবহানাল্লাহঃ

সুবহানাল্লাহ (سُبْحَانَ الله) এর অর্থ সকল পবিত্রতা আল্লাহর অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যাবতীয় মন্দ ও সকল প্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র।

আল্লাহর কুদরতের কথা শুনলে বা দেখলে, আশ্চর্যজনক ভালো কোনো কাজ হতে দেখলে কিংবা বিস্ময়কর ভালো কোনো কথা শুনলে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে।

আল্লাহ তায়ালা এই বাক্যটি নিজের জন্য পছন্দ করেছেন। তিনি এই বাক্য দ্বারা সন্তুষ্ট হন। এই জিকিরের শব্দটি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে অত্যন্ত পছন্দনীয়।

মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) বলেছেন, “১০০ বার সুবহানাল্লাহ বললে, তার জন্য ১০০০ হাজার নেকি লেখা হবে। এবং তার ১০০০ পাপ মোচন করা হবে।”

(মুসলিমঃ ২৬৯৮, তিরমিযীঃ ৩৪৬৩)

মাশাআল্লাহঃ

মাশাআল্লাহ (مَا شَاءَ ٱللَّٰهُ) এর অর্থ আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন তাই হয়।

এটি আলহামদুলিল্লাহ এর মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে বিস্ময়কর কোনো কিছু দেখলে এই শব্দ বলা যায়। অর্থাৎ যেকোনো সুন্দর ও ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়।
প্রত্যেক কাজে খুশি হয়ে মাশাআল্লাহ কেউ উচ্চারণ করলে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর অনেক খুশি হন।

ইনশাআল্লাহঃ

ইনশাআল্লাহ (إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ‎) এর অর্থ মহান আল্লাহ যদি চান।

ভবিষ্যতের হবে, করবো বা ঘটবে এমন কোনো ভালো কাজের ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলতে হয়। ইনশাআল্লাহ বললে আল্লাহ খুশি হন। আল্লাহ খুশি হলে কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। ভবিষ্যতের বাধাবিপত্তি কেটে যায়।

কেউ যদি বলে, ‘ইনশাআল্লাহ’ ভালো আছি। তাহলে এ বাক্যটির ব্যবহার অশুদ্ধ হবে। কারণ, ‘ইনশাআল্লাহ’ ব্যবহার হয় কেবল ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে।

যেকোনো বৈধ কাজে ‘ইনশাআল্লাহ’ বললে সওয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু অবৈধ কোনো কাজ করার ব্যাপারে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা জায়েজ নেই। চুরি, ডাকাতি, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ যাবতীয় অপরাধ ও অনৈতিক কাজে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা সম্পূর্ণ হারাম।

যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কোন কাজই আমাদের দ্বারা করা সম্ভব নয় তাই আমাদের উচিত প্রতিটি সঠিক কাজ করার আগে ইনশাআল্লাহ বলে নেওয়া।

নাউযুবিল্লাহঃ

নাউযুবিল্লাহ (ﻧَﻌُﻮْﺫُﺑِﺎ اللّٰهَ) এর অর্থ আমরা মহান আল্লাহর কাছে এ থেকে আশ্রয় চাই।

যে কোনো মন্দ ও গুনাহের কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার্থে এটি বলতে হয়।
মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) বলেছেন, “তোমরা ভয়াবহ বিপদ, হতভাগ্যের অতল গহবর, মন্দ ভাগ্য এবং শত্রুর আনন্দ প্রকাশ থেকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর।”

(বুখারীঃ ৬১৬৩)

আসতাগফিরুল্লাহঃ

আসতাগফিরুল্লাহ (أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ‎) এর অর্থ আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।

অনাকাঙ্খিত কোনো অন্যায় বা গুনাহ হয়ে গেলে এটি বলতে হয়।
মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) প্রতিদিন ৭০ বারেরও বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ও তাওবা করেছেন।

(বুখারীঃ ৬৩০৭)

জাযাকাল্লাহ খাইরঃ

জাযাকাল্লাহ খাইর (جَزَاكَ اللَّهُ خَيْراً) এর অর্থ মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন।

কেউ আপনার কোনো উপকার করলে তাকে জাযাকাল্লাহ খাইর বলতে হয়।

মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) বলেছেন, ‘কারো প্রতি কৃতজ্ঞতার আচরণ করা হলে ওই ব্যক্তি কৃতজ্ঞতার আচরণকারীকে যদি ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বলে ; তবে সে যেন তার যথাযোগ্য প্রশংসা করল।’

(তিরমিজিঃ২০৩৫)

ঘুম থেকে উঠার দোয়াঃ

ﺍَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ

উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।

অর্থঃ সব প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করেছেন এবং তার দিকেই আমাদের পুনরুত্থান।

ঘুমানোর সময় পড়ার দোয়াঃ

اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।

অর্থঃ হে আল্লাহ ! আপনার নামেই মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।

খাওয়ার শুরু করার দোয়াঃ

بِسْمِ اللّهِ وَ عَلى بَرَكَةِ اللهِ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওআ’আলা বারকাতিল্লাহ।

অর্থঃ আল্লাহর নামে শুরু করছি এবং আল্লাহ তায়ালার বরকতের সাথে এ খাবার খাচ্ছি।

খাওয়ার শুরুতে দোয়া পড়তে ভুলে গেলে খাওয়ার মাঝে স্মরণ আসার পর এই দোয়া পড়তে হয়।

بِسْمِ اللهِ أَوَّلَه وَآخِرَه

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি আওওয়ালাহু ওয়া আখীরাহ।

অর্থঃ আল্লাহর নামে শুরু এবং শেষ করছি।

খাওয়ার শেষ করার দোয়াঃ

اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَ سَقَانَا وَ جَعَلَنَا مِنَ الْمُسْلِمِيْن

উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাহিল্লাজী আত্ব আ’মানি ওয়া ছাক্কানি ওয়া জাআলানি মিনাল মুছলেমীন।

অর্থঃ সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা জন্য যিনি আমাদেরকে পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন।

কেউ খাওয়ার পূর্বে বিসমিল্লাহ না বললে সেই খাবারে শয়তান তার সাথে অংশগ্রহণ করে, বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া শুরু করলে সেই খাবার থেকে শয়তান কিছু খেতে পারেনা।
আর কেউ যদি বিসমিল্লাহ না বলে খাওয়া শুরু করে এবং পরে মনে করে খাওয়ার দোয়া পড়ে, তাহলে শয়তান যা খায় তা বমি করতে বাধ্য হয়।
রাসুল (স) বলেন, ‘যে খাবারে আল্লাহর নাম নেওয়া হয় না, শয়তান সেই খাবারকে তার জন্যে হালাল মনে করে।’

টয়লেটে যাওয়ার আগে দোয়াঃ

اَللَّهُمَّ اِ نِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসী ওয়াল খাবায়িস।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি মন্দ কাজ ও শয়তান থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

টয়লেট থেকে বের হওয়ার সময় পড়ার দোয়াঃ

غُفْرَانَكَ الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّيْ الْاَذَى وَعَافَانِيْ

উচ্চারণঃ গুফরানাকা আলহামদু লিল্লাহিল্লাযি আজহাবা আ’ন্নিল আজা ওয়া আ’ফানী।

অর্থঃ আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার কাছ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু বের করে দিয়েছেন এবং আমাকে নিরাপদ করেছেন।

বাথরুম বা টয়লেট নাপাক ও নোংরা স্থান। নাপাক ও নোংরা স্থানে শয়তান বাস করে। কেউ টয়লেটে প্রবেশের সময় দোয়া না পড়লে শয়তান আমাদেরকে দেখতে পায়। কিন্তু কেউ যদি টয়লেটে প্রবেশ করার আগে উপরোক্ত দোয়াটি পড়ে নেয়, তবে শয়তান তাকে আর দেখতে পায় না এবং কোনো ক্ষতিও করতে পারে না। এই দোয়ার পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় গ্রহণ করি।

হাই আসলে কী করতে হবে?

হাই আসে অলসতা ও জড়তার কারণে। আর এ সব আসে শয়তানের কাছ থেকে। কাজেই আমাদের যখন হাই আসবে যথাসম্ভব তা রোধ করতে হবে। কেননা কেউ হাই তুললে শয়তান তার প্রতি হাসে।
আমারা হাই তুলি অলসতা ও জড়তার কারণে। এই হাই তোলা শয়তানের পক্ষ হতে হয়ে থাকে। কাজেই আমাদের যখন হাই আসবে যথাসম্ভব তা রোধ করতে হবে। কেননা কেউ হাই তুললে শয়তান তার প্রতি হাসে।

(বুখারীঃ ৩২৮৯)