- Home
- ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
কুরআন মজিদ শিক্ষা
পাঠ ৫
কুরআন মজিদ শিক্ষা
কুরআন মজিদ আল্লাহর কালাম। সর্বশেষ আসমানি কিতাব। এটি মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।
সালাতে কুরআন মজিদ তিলওয়াত করা ফরজ। তাই তিলওয়াত শুদ্ধ হওয়া দরকার। সেজন্য আমরা কুরআন মজিদ শুদ্ধ করে শিখব। অপরকে শিখাব। কুরআন মজিদের নির্দেশমতো চলব।
কুরআন মজিদের ভাষা আরবি। আরবিতে ২৯ টি অক্ষর বা হরফ আছে। আরবি পড়তে ও লিখতে হয় ডানদিক থেকে।
আরবি ২৯ টি হরফঃ

শব্দের শুরুতে, মাঝে, ও শেষে আরবি হরফগুলোর বিভিন্ন রূপঃ



হরকত
আরবি শব্দ উচ্চারণ করার জন্য যে স্বরচিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে হরকত বলে ৷
হরকত তিনটি। যথাঃ
যবর
, যের
, পেশ
।
১। হরফের উপর যবর থাকলে উচ্চারণে আ-কার হবে।

নিচে যবরযুক্ত (
) ছকটি পড় ও লিখ।

২। হরফের নিচে যের থাকলে উচ্চারণে ই-কার হবে।

নিচে যেরযুক্ত (
) ছকটি পড় ও লিখ।

৩। হরফের উপর পেশ থাকলে উচ্চারণে উ-কার হবে।

নিচে পেশযুক্ত (
) ছকটি পড় ও লিখ।

তানবীন
দুই যবর (
), দুই যের (
) ও দুই পেশ (
) -কে তানবীন বলে।
তানবীনের উচ্চারণ নূনযুক্ত হয়।
বা দুই যবর ﺏً = বান
বা দুই যবর ﺏٍ = বিন
বা দুই যবর ﺏٌ = বুন
তানবীনের অবস্থান উদাহরণসহ নিচের ছক থেকে জেনে নেই –

দুই যবর (
) যুক্ত তানবীনের এই ছকটি পড় ও লিখ।

দুই যের (
) যুক্ত তানবীনের এই ছকটি পড় ও লিখ।

দুই পেশ (
) যুক্ত তানবীনের এই ছকটি পড় ও লিখ।

জযম
আরবিতে এমন অনেক শব্দ আছে যেখানে অনেক হরফ রয়েছে যাদের যবর, যের, পেশ নেই। কিন্তু আগের হরফের যবর, যের, পেশ রয়েছে। এই যবর, যের, পেশ বিহীন হরফটি উচ্চারণের জন্য একটি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এই চিহ্নকে জযম বলে।
জযমের অপর নাম সাকিন।
জযম বা সাকিনকে তিনটি চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমনঃ 
উদাহরণঃ ﺑَﻦٛ বা নূন যবর = বান
ﺑِﻦٛ বা নূন যের = বিন
ﺑُﻦٛ বা নূন পেশ = বুন
সুতরাং কোন হরফের উপর জযম বা সাকিন থাকলে পূর্বের হরফের সাথে মিলিয়ে একত্রে একবার উচ্চারণ করতে হয়।


